November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

প্রতিদিন যৌবন ও রূপ বাড়াতেই থাকে এই খাবার 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

কিছু খাবার খেলে কিন্তু বাস্তবিকই বয়স ধরে রাখা সম্ভব। বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়? ভাবছেন খাবারের সঙ্গে বয়সের কী সম্পর্ক! একথা সত্যি যে কয়েকটি খাবারে এমন কিছু গুণ আছে, যা বয়স তো কমায়, সেই সঙ্গে শরীরকেও চাঙ্গা রাখে। বয়স বাড়লে শুধু শরীর ভাঙে না। তার সাথে সাথে ত্বক, চুল, দৃষ্টিশক্তি, শারীরিক ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। কিছু খাবার আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বক, চুল এবং নখকে সুন্দর করতেও দারুন কাজে আসে। যখন দেখবেন চামড়া ভাঁজ খাচ্ছে না বা চুলের উজ্জ্বলতা কমে যাচ্ছে না এবং শারীরিক ক্ষমতাতেও একটুও ভাটা পড়ছে না, তখন দেখবেন এমনিতেই মনে হবে যৌবনের আগুনে টগবগ করে ফুটছেন আপনি।

প্রতিদিন আপনাকে কতটা সুন্দর এবং প্রাণবন্ত দেখতে লাগবে তা কিন্তু নির্ভর করে আপনি কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন তার উপর। একথা ভুলে যাবেন না, খাবারই কিন্তু আমাদের তৈরি করে। কারণ খাবারে থাকে নিউট্রিয়েন্ট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে নানা ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে অনবরত রক্ষা করে চলে।

জাম: এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে ,যা বয়স বাড়ার গতিকে আটকায়। ক্র্য়ানবেরি,স্ট্রবেরি এবং অবশ্য়ই ব্লেক বেরি শরীরের সার্বিক গঠনের জন্য় খুব ভালো। তাই প্রতিদিন যদি এর মধ্য়ে কোনও একটা খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের ভাঙন রধ হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সৌন্দর্যতা বাড়তে শুরু করে।

আস্ত শস্যদানা: ঝাড়াই করা শস্য় দানার পরিবর্তে যদি আস্ত শস্যদানা খাতে পারেন তাহলে বয়স বাড়ার হার অনেকটাই হ্রাস পায়। শুধু তাই নয় এই ধরনের খাবার বয়সজনিত নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমায়, বিশেষত হার্টের নানা রোগ হওয়ার পথ আটকায়। প্রসঙ্গত, আস্ত শস্যদানায় মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে।

মটরশুঁটি: হার্টকে নানা ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি শরীরের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মটরশুঁটির কোনও বিকল্প নেই। তাই আপনি যদি দীর্ঘদিন জোয়ান থাকতে চান, তাহলে হার্টকে সুস্থ রাখুন. দেখবেন এমনই শরীরের বয়স কমতে থাকবে। টমাটো: লেকোপেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে টমাটোয়, যা ত্বকের জন্য় খুব উপকারি। শুধু তাই নয়, স্টমাক, লাং এবং প্রস্টেট ক্যান্সার রোধেও এই সবজিটি দারুন কাজে আসে।

মাছ: যেমনটা আমরা সকলেই জানি যে মাছে রয়েছে ওমেগা-ত্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড। এটি শরীরের যে কোনও প্রদাহ কমাতে দারুন কাজে আসে। সপ্তাহে দু’বার অন্তত মাছ খান। এমনটা করলে দেখবেন স্ট্রোক এবং অ্যালজাইমার রোগ হওয়ার আশঙ্কা কমবে। সবুজ শাকসবজি: কপি পাতা এবং পালং শাকে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা সেলের ক্ষয় আটকে ত্বকের বয়স ধরে রাখে।

আঙ্গুর: রেজভারেটল নামে একটি যৌগ রয়েছে এই ফলটিতে, যা একাধারে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি- কোয়াগুলেন্ট। এই উপাদান দুটি হার্টকে ভালো রাখে। আর যেমনটা আগেও বলেছি যে শরীর তথনই চাঙ্গা থাকবে, যখন হার্ট সুস্থ থাকবে।

অলিভ অয়েল: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি মনোসেচুরেটেড ফ্য়াটে ভরপুর এই তেলটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি বয়সজনিত নানা অসুবিধা কমাতেও দারুন কাজে আসে।

বাদাম: শরীরকে ভালো রাখতে ভালো ফ্য়াটেরও প্রয়োজন আছে। তাই প্রতিদিন বাদাম খান মুঠো ভরে। এতে রয়েছে ভালো ফ্য়াটের পাশাপাশি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শরীরকে ভালো রাখতে দারুন কাজে আসে।

গ্রিন টি: প্রতিদিন এক কাপ গ্রিন টি পান করলে শরীরে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রবেশ করে। আর যেমনটা আমাদের সকলেই জানা যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্য়ানসার , হার্ট ডিজিজ এমনকি অ্যালজাইমার রোগ আটকাতেও সাহায্য় করে।

Related Posts

Leave a Reply