জীবদ্দশাতেই ঘুরে আসতে পারেন ‘জাহান্নামের দরজা’
কলকাতা টাইমস
চমকে উঠলেন তো! জাহান্নাম মানে নরক আবার কেউ যেতে চায় নাকি ? ভয় পাবেন না এখানে যাওয়ার জন্য মরতে হবে না। জীবদ্দশাতেই যেতে পারবে। পৃথিবীতেই এই স্থানকে বলা হয় ‘জাহান্নামের দরজা’! দেখলে যেকোনো মানুষের তাই মনে হবে। অবস্থান তুর্কেমেনিস্তানে। এটা আসলে পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাসের খনি। ১৯৭১ সাল থেকে এই খনির মুখটি জ্বলছেই।
সবকিছুর শুরু হয়েছিল যখন এখান থেকে মানুষ প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের চেষ্টা শুরু করে। প্রথমদিকে এ কাজ করার সময় ড্রেজারটি খনিতে পড়ে যায়। তখন মিথেন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এটা পরিবেশের জন্যে খুবই ক্ষতিকর। আটকানোর জন্যে খনির মুখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে গ্যাস জ্বলতে থাকে। ধারণা করা হয়েছিল, একটা সময় পর এটা নিভে যাবে। সেই ১৯৭১ সাল থেকে জ্বলছে এই খনির মুখ। একে আর নেভানো সম্ভব হয়নি। এটা এমনিতেই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গ্যাস খনির মধ্যে একটি।
ইতিমধ্যে এই স্থানটি তুর্কেমেনিস্তানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন শহরে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই আসেন একনজর এই জাহান্নামের দরজা দেখতে। খনিটা দারওয়েজে গ্রামের কাছেই অবস্থিত। এটা দারভাজা নামেও পরিচিত। কারাকুম মরুভূমির মাঝে অবস্থিত। তুর্কেমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাতের ২৬০ কিলোমিটার উত্তরে। এই বিশেষ নামটি দিয়েছেন স্থানীয়রা। এই জ্বলন্ত আগুন, ফুটন্ত কাদা আর গাঢ় কমলা রংয়ের অগ্নিকুণ্ডের কারণেই এই নাম পেয়েছে খনির মুখটি।
তুর্কেমেনিস্তানের ভূবিজ্ঞানী আনাতোলি বুশমাকিন জানান, ১৯৭১ সালে স্থানটি চিহ্নিত করেন সোভিয়েতের প্রকৌশলীরা। প্রথমে এটাকে তেলের খনি বলে ধারণা করা হয়েছিল। ড্রিলিং রিগ স্থাপন করা হয়। তারা দেখতে চেয়েছিলেন এখানে কী পরিমাণ তেল মজুদ রয়েছে? কিন্তু খুব দ্রুত গ্যাসের কূপ পাওয়া গেলো।
নামের সঙ্গে কিন্তু এর চেহারার মিল রয়েছে। কিন্তু এর অপূর্ব দৃশ্যের জন্ম দেয় রাতের বেলা। সৌন্দর্যপিপাসুরা এ কারণেই ছুটে যান সেখানে।