করোনাও বুঁদ হয়ে পালাবে গাঁজা, আফিমের এই দুই গুনে
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
আফিম, গাঁজায় থাকা এমন দু’টি রাসায়নিক যৌগের হদিশ মিলল যারা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত রুখে দিতে পারে।
দেখা গেল, ওই দু’টি যৌগ ভাইরাসের বাইরের স্তরে থাকা শুঁড়ের মতো দেখতে স্পাইক প্রোটিনের বিভিন্ন অংশকে দ্রুত বেঁধে ফেলতে পারে। ফলে, মানবশরীরে ঢুকে ভাইরাস আর কোষে নোঙর ফেলতে পারে না। সংক্রমণও হয় না।
আমেরিকার ওরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই খবর দিয়েছে। জার্নাল অব ন্যাচারাল প্রোডাক্টস’-এ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এর ফলে আগামী দিনে এই দু’টি যৌগকে ব্যবহার করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নতুন ওষুধ আবিষ্কার হতে পারে।
মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণীর শরীরে ঢুকে শুঁড়ের মতো দেখতে এই স্পাইক প্রোটিন দিয়েই আশ্রয়দাতার দেহকোষে নোঙর ফেলে করোনাভাইরাস। ভাইরাসকে সেই নোঙর ফেলতে সাহায্য করে আশ্রয়দাতার কোষের বাইরের স্তরে থাকা এসিই-২ রিসেপ্টর প্রোটিন।
গবেষকরা দেখেছেন, আফিম, গাঁজায় প্রচুর পরিমাণে থাকা দু’টি রাসায়নিক যৌগ মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণীর দেহকোষে করোনাভাইরাসকে নোঙর ফেলতে বাধা দেয়। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে বেঁধে ফেলে।
আফিম, গাঁজায় থাকা ওই দুটি রাসায়নিক যৌগ আদতে দুটি অ্যাসিড। একটির নাম— ‘ক্যানাবিগেরোলিক অ্যাসিড (সিবিজিএ)’। অন্যটি, ‘ক্যানাবিডায়োলিক অ্যাসিড (সিবিডিএ)’।
গবেষণাটি করা হয়েছে গবেষণাগারে। কোনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও পর্যন্ত চালানো হয়নি। গবেষকরা দেখেছেন, আফিম, গাঁজায় থাকা দুটি রাসায়নিক যৌগ সিবিজিএ এবং সিবিডিএ খুব দ্রুত করোনাভাইরাসের আলফা ও বিটা রূপ (ভেরিয়্যান্ট)-গুলির সংক্রমণ রুখে দিতে পারছে। ভাইরাসের ওই রূপগুলির স্পাইক প্রোটিনকে এত তাড়াতাড়ি বেঁধে ফেলছে যে ভাইরাসটি মানব দেহকোষে নোঙর ফেলতেই পারছে না। ফলে, সংক্রমণ হচ্ছে না।