November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না, একটু হেটে নিন না 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

পনি যখন গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাচ্ছেন তখন আপনার কি করা উচিত? সবকিছু ভুলে গিয়ে তখন সোজা হাঁটতে বেরিয়ে পড়াই কি সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত? যদিও এখন বাড়ির বাইরে হাঁটতে যাওয়াও তো কম বিপদের নয়। তাহলে ঘরেই একটু হেটে নিন।

প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে জানিয়েছেন, আগাম নির্বাচন ডাকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি নেন যখন তিনি ছুটিতে থাকার সময় ওয়েলসে তার স্বামীর সাথে হাঁটতে বের হয়েছিলেন, ঠিক তখনই।

পনি যখন গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হিমশিম খাচ্ছেন তখন আপনার কি করা উচিত? সবকিছু ভুলে গিয়ে তখন সোজা হাঁটতে বেরিয়ে পড়াই কি সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত?

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে জানিয়েছেন, আগাম নির্বাচন ডাকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন যখন তিনি ছুটিতে থাকার সময় ওয়েলসে তার স্বামীর সাথে হাঁটতে বের হয়েছিলেন, ঠিক তখনই।

তাহলে হাঁটা কি মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে? কিভাবে ও কেনো?

ব্রিটেনের একটি টিভি চ্যানেল আইটিভিতে এরকমই হাঁটার ওপর জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান- ‘ব্রিটেন্স বেস্ট ওয়াকস।’ তার উপস্থাপক জুলিয়া ব্র্যাডবারি বলেছেন, হাঁটা মানুষের মন ও কাজের ওপর বড় রকমের প্রভাব ফেলতে পারে।

তিনি বলেন, “হাঁটা শুধু শরীর চর্চাই নয়, এসময় মানুষ গভীরভাবে চিন্তাও করতে পারে। মানসিকভাবে সুস্থ থাকতেও এর বড় ভূমিকা রয়েছে।”

এজন্যে দেখা গেছে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করেন তারা লোকজনকে বেশিরভাগ সময়েই সুযোগ মতো শরীর চর্চা বিশেষ করে হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ঘরের বাইরে একটি চেয়ার নিয়ে বসে থাকলে সেটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে না কিন্তু হাঁটতে গেলেই সেটা সহজ হয়ে যায় – এর পেছনে কি জাদু কাজ করে থাকে?

বিশেষজ্ঞ জুলিয়া ব্র্যাডবারি বলছেন, “আসলে এর পেছনে অনেক কিছুই রয়েছে।”

তিনি জানান, “এক গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র ১২ মিনিটের মতো হাঁটলেই মানুষের মন চাঙ্গা হয়ে উঠে। এর ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। সৃজনশীলতা বাড়ে। চিন্তার সীমা প্রসারিত হয়।”

“হাঁটার মধ্যে এমন একটা জিনিস আছে যা অন্য কিছুতে নেই। এসময় এমন একটা ছন্দ তৈরি হয় যা মানুষকে ঠিকভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করে,” বলেন তিনি।

“হাঁটার সময় আমাদের শরীরে যে ছন্দ তৈরি হয় তার সাথে মানসিক অবস্থার একটা যোগাযোগের সৃষ্টি হয়। তারা তখন পরস্পরের সাথে কথা বলতে পারে।”

তিনি বলেন, হাঁটার সময় আপনি আপনার চিন্তার গতিতেও পরিবর্তন আনতে পারেন।

জুলিয়া ব্র্যাডবারি বলেছেন, “খুব দ্রুত হেঁটে কিম্বা হাঁটার গতি শ্লথ করে দিয়ে চাইলে আপনি আপনার চিন্তার গতিতেও পরিবর্তন ঘটাতে পারেন।”

একটি উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, কেউ যখন জিমে শরীর চর্চা করতে থাকেন তখন যদি তিনি দ্রুত লয়ের গান জোরে শুনতে থাকেন, তাকে একটু জোরে হাঁটতে হয়। আর গাড়ির চালানোর সময় যদি একই ভাবে গান বাজানো হয় তখন চালক তার নিজের অজান্তেই একসেলারেটর বা গ্যাস প্যাডেলে পা চেপে ধরেন।

তিনি বলেন, ফলে এথেকে বোঝা যায় চিন্তার সাথে হাঁটার অবশ্যই একটা সম্পর্ক আছে।

বলা হচ্ছে, হাঁটার সময় সঙ্গী থাকলে চিন্তার কাজটা আরো সহজ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও আপনি কোথায় হাঁটছেন সেটাও আপনার চিন্তার ওপর প্রভাব ফেলে থাকে।

জুলিয়া ব্র্যাডবারি বলেন, “আপনি যখন প্রকৃতির ভেতর দিয়ে হেঁটে যান তখন হয়তো আপনি কখনো থামেন, দাঁড়ান, কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করেন। আপনার চারপাশে এমন একটা পরিবেশ থাকে এবং সেই পরিবেশের সাথে আপনার তখন এমন একটা সম্পর্ক তৈরি হয় যা আপনার মুডকে স্থিতিশীল রাখে, কমিয়ে দেয়া মানসিক চাপ কিম্বা অস্থিরতা।”

তিনি বলেন, হাঁটার এই পরিবেশ থেকেও প্রধানমন্ত্রী মে হয়তো নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে, কে জানে।”

এসময় সঙ্গী থাকলে, যেমন প্রধানমন্ত্রীর পাশে তার স্বামী ছিলো, পাশাপাশি হাঁটার সময় আপনি সঙ্গীর সাথে কথাও বলতে পারেন। টেবিলে বসে কথা বললে অনেক সময় যেমন উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়, হাঁটার সময় সেরকম হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

কারণ পাশাপাশি হাঁটার সময় একজনের চোখ আরেকজনের চোখের ওপর পড়ে না, তখন চিন্তার স্বাধীনতা কাজ করে। আর একারণে হাঁটার অভিজ্ঞতা সুখকর হয়।

Related Posts

Leave a Reply