November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

ভয়ে ঘুমাতে পারেন না, কি মারাত্মক রোগে ভুগছেন জানেন ? 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ধুনিক জীবনে ঘুমের সময় কম। ঘুমের অভাবে রাতের পর রাত জেগে থাকেন অনেকে। এরই মধ্যে হানা দিয়েছে হিপনোফোবিয়া। ঘুম নিয়ে নতুন আতঙ্ক বাসা বাঁধছে মানুষের মনে।

ঘুম নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক। এই আতঙ্ক চেপে বসে মনের ওপর অপরিসীম চাপ তৈরি করে। অসুখের নাম হিপনোফোবিয়া। প্রতি বছর এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। মুশকিল হচ্ছে, রোগ সারানোর বেশির ভাগ থেরাপি সময়সাপেক্ষ। তাছাড়া, অনেক সময় রোগীকে এই মানসিক আতঙ্কের মধ্যে দীর্ঘদিন কাটানো চিকিত্‍সা পদ্ধতিরই অঙ্গ। ফলে সমস্যা জটিলতর হয়ে দেখা দিচ্ছে। মনোবিদরা জানাচ্ছেন, আধুনিক চিকিত্‍সা পদ্ধতিতে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রোগমুক্তি সম্ভব।

হিপনোফোবিয়া আক্রান্ত মানুষ ঘুমাতে যেতে ভয় পান। একই কারণে সম্মোহিত হতে হলেও এঁরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এর জেরে মনে অহেতুক ভীতির সঞ্চার হয় এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নষ্ট হয়।

কী কারণে হয় হিপনোফোবিয়া?
আত্মরক্ষা করার প্রস্তুতি থেকেই অবচেতনে ধীরে ধীরে বাসা বাঁধে হিপনোফোবিয়া। অতীত জীবনে ঘুম বা সম্মোহন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা ঘটে থাকলে মনে তার প্রভাব পড়ে। ঘনিষ্ঠজনের কোনও নিদারুণ ক্লেশের সাক্ষী হয়ে থাকলে বা সিনেমা বা টিভি-তে দেখানো ভয়ঙ্কর কোনও দৃশ্য যার সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক রয়েছে, তার স্মৃতি অবচেতনে মানসিক বিকার তৈরি করে। অবচেতনে ধারণা সৃষ্টি হয়, সব কিছুর মধ্যেই বিপদের উপস্থিতি রয়েছে। এর জেরেই সৃষ্টি হয় হিপনোফোবিয়া।

রোগের লক্ষণ
১) দ্রুত বেগে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ২) ছোট ছোট শ্বাস নেওয়া ৩) অত্যধিক ঘাম হওয়া ৪) প্রায়ই ভয় পাওয়া ৫) অনিয়মিত হৃদস্পন্দন ৬) গা-গুলোনো ভাব।

তবে রোগী অনুযায়ী রোগের লক্ষণ বদলাতে পারে। হিপনোফোবিয়ার চিকিত্‍সায় একাধিক ওষুধ দেওয়া হয়। যদিও মনে রাখা দরকার, হিপনোফোবিয়া কোনও ওষুধে সারে না। কিন্তু ওষুধের সাহায্যে রোগজনিত কষ্ট হ্রাস করা সম্ভব। অসুখটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং ওষুধ ছাড়ার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ভয়ঙ্কর হতে পারে।

হিপনোফোবিয়া নিয়ে বেঁচে থাকলে কী কী ক্ষতি হতে পারে?

মনোবিদদের দাবি, সময় মতো রোগ না সারালে সারা জীবন ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্যে কাটানোই ভবিতব্য হয়ে ওঠে। এর জেরে পারিবারিক অশান্তি ও সম্পর্কহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে। জীবনের বহু গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা অধরা থেকে যায়। সব মিলিয়ে পাওয়া যায় এক অসুখী জীবন। সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে, মনোঃসংযোগের অভাবও দেখা দেয়।

চিকিত্‍সা পদ্ধতি
কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে হিপনোফোবিয়া সারানো সম্ভব। এক্ষেত্রে মনোবিদ আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার পাঠ দেন। অনুশীলনের মাধ্যমে অবচেতনকে বিভিন্ন সদর্থক অনুভূতির সাহায্যে ঘুম সম্পর্কিত আতঙ্ক থেকে মুক্ত করা যায়।

Related Posts

Leave a Reply