‘সবাইকে মরতেই ছেড়ে পালন ট্রাম্প’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসনের বিচারে তার সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনে হামলার নতুন কিছু নাটকীয় ভিডিও সিনেটরদের দেখানো হয়েছে। বিচারের সময় আবেগঘন বিবৃতিতে অভিশংসনের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সহিংস ঘটনার খুঁটিনাটি তুলে ধরেন।
অপ্রকাশিত নিরাপত্তা ফুটেজে দেখা যায় যে, দাঙ্গাকারীরা মার্কিন আইনপ্রণেতাদের কতটা কাছাকাছি চলে এসেছিল। ভেতরে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা মরিয়া হয়ে রাজনীতিবিদদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছিলেন। অনেক সময় মাত্র কয়েক গজের ব্যবধানে দাঙ্গাকারীরা ভবনের চেম্বারে প্রবেশ করছিল।
উত্তেজিত কিছু অডিওতে শোনা যায় যে, নিরাপত্তা রক্ষীরা সহায়তা চাইছিল, তারা বলছিল যে কিভাবে জনতা তাদের বিরুদ্ধে ব্যাট এবং টিয়ার গ্যাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রতিনিধি স্টেইসি প্ল্যাসকেট সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের সময় অভিযোগ তোলেন যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট সহিংসতায় ‘ইচ্ছাকৃতভাবে উসকানি’ দিয়েছিল এবং জ্যেষ্ঠ সদস্যদের ‘লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল’ যাদের মধ্যে তার নিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও রয়েছেন।
গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে হামলা হয়। এর আগে গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির কারণে ট্রাম্প জয় পাননি বলে মিথ্যা অভিযোগের সমর্থনে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। ক্যাপিটলে নির্বাচনের ফল অনুমোদন দেওয়ার সময় ওই হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জন মারা যায়।
চলতি সপ্তাহের শেষে ট্রাম্পের আইনজীবী তার পক্ষে বিচারে যুক্তি তুলে ধরবেন। তবে এরই মধ্যে তিনি দাবি করেছেন যে, তার বিরুদ্ধে বিচার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত এবং অসাংবিধানিক। ১০০ আসনের সিনেটে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার। তবে এখনো পর্যন্ত রিপাবলিকান অধ্যুষিত সিনেটের বেশিরভাগ সদস্য ট্রাম্পের প্রতি অনুগত থাকার কারণে তিনি রেহাই পেয়ে যাবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তিনি পরবর্তীতে আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।