বিড়াল পোষা নিষিদ্ধ হতে চলেছে নিউজিল্যান্ডের এই গ্রামে

কলকাতা টাইমসঃ
নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে একটা ছোট গ্রামে নিষিদ্ধ হতে চলেছে বিড়াল পোষা। সেখানকার স্থানীয় পশুপাখিদের বাঁচাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কর্তৃপক্ষ চাইছে আইন করে ওই গ্রামে বিড়াল পোষা নিষিদ্ধ করতে, কিন্তু গ্রামবাসীদের কেউ কেউ এর বিরুদ্ধে সােচ্চার হয়েছেন। উপকূলের ওমাওই নামের গ্রামটির বাসিন্দাদের প্রায় সবারই এক বা একাধিক পোষা বিড়াল রয়েছে। ফসল ও বাড়ি ঘরে ইঁদুরের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে, কেউ বা শখের বসে বিড়াল পোষেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, বিড়ালের কারণে এলাকাটিতে জীব বৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বিড়াল পোষা নিষিদ্ধ করতে চান তারা। এই বিষয়ে নতুন একটি আইনও করা হবে।
আইনটির প্রস্তাব করেছেন নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের (সাউথল্যান্ড) পরিবেশ দফতর। আইন অনুযায়ী সবার পোষা বিড়ালকে জন্মনিরোধক টিকা দেওয়া হবে এবং কারো বিড়াল মারা গেলে নতুন করে সে আর বিড়াল সংগ্রহ করতে পারবে না। কর্তৃপক্ষ বলছে, বিড়ালের কারণে প্রতি বছর এলাকাটিতে লাখ লাখ পাখি ও ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণি মারা যায়। তাদের বক্তব্য, আমরা বিড়াল বিরোধী নই, কিন্তু পোষা বিড়াল বাড়ির বাইরে এসে কেন পশু-পাখির ক্ষতি করবে।
২০৫০ সাল নাগাদ নিউজিল্যান্ডকে প্রাণিদের জন্য নিরাপদ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যদিও বাসিন্দাদের কেউ কেউ এই যুক্তি মানতে রাজি নন। নিকো জারভিস নামে এক বাসিন্দা বলেন, তিনটি পোষা বিড়ালের কারণে আমি ইদুরের উৎপাত থেকে রক্ষা পাই। বিড়াল তিনটি না থাকলে আমার বাড়ি ঘরে থাকা দায় হবে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।