সাবধান : বাবা-মাকে ছাড়তে বললেই এবার বৌয়ের কপালে ডিভোর্স
এখন আমরা নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিই দেখতে অভস্ত্য। ছেলে-মেয়েরা কারুর হস্তক্ষেপ ছাড়াই মানুষ হয়। একা থাকতেই ভালোবাসে বেশি। বেশি পরিবারের সদস্য তাদের না পসন্দ। বিয়ের পর সে কারণেই বেশির ভাগ বাড়িতে শুরু হয় অশান্তি। শশুর-শাশুড়ি থাকলে স্ত্রীর কাছে মনে হয় তারা পার্সোনাল লাইফ হস্তক্ষেপ করছেন। ব্যাস স্বামী বেচারা ফেঁসে গেলেন স্ত্রী-বাবা মায়ের মাঝে। কিন্তু এবার এর সমাধান করে দিল কেরলের এক আদালত। আদালত বলছে বিয়ের পর স্ত্রী যদি মা-বাবাকে ছেড়ে আলাদা থাকার জন্য চাপ দেন, তাহলে তাকে ডিভোর্স দিতে পারবেন স্বামী।
স্বামীকে বারবার চাপ দিয়ে বাবা-মা’কে ছাড়তে বলাটা তার উপর মানসিক নির্যাতন এবং এটিকে দণ্ডনীয় অপরাধ বলা চলে। তাই স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য এটিই যথেষ্ট কারণ। একটি বিচ্ছেদের মামলার ভিত্তিতে এমনই মন্তব্য করেছে ভারতের কেরালার হাইকোর্ট।
মাকে ছেড়ে আলাদা থাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন স্ত্রী, এই অভিযোগ তুলে কেরালা হাইকোর্টে বিচ্ছেদের মামলা করেন এক ব্যক্তি। তবে ওই ব্যক্তির স্ত্রী পাল্টা অভিযোগ করেন, শাশুড়ির নির্দেশে স্বামী মদ্যপান করে তার উপর অত্যাচার চালান।ওই নারী জানান, তিনি স্বামীর সঙ্গে ঘর করতে চান, কিন্তু শাশুড়ির সঙ্গে নয়। সেই মামলার ভিত্তিতে বিচারপতি এএম শফিক ও বিচারপতি মেরি জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ জানান, “অসহায় বাবা-মা এবং স্ত্রীর প্রত্যাশা, এই দুইয়ের টানাপড়েনের মধ্যে জীবনধারণ যেকোনও পুরুষের জন্যই দুঃসহ। এই ধরনের কোনও ঘটনায় যদি দেখা যায় ডিভোর্সের জন্য অন্য কোনও গ্রহণযোগ্য কারণ নেই। তখন শুধু এই কারণের ভিত্তিতেই স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবেন স্বামী।”
এই মামলায় কেরালা হাইকোর্টের আরও একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। দুই বিচারপতির ওই ডিভিশন বেঞ্চ বলেছেন, বাড়ির বউকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বড়রা চাইলে কখনও কখনও ছোটদের বকাবকিও করতে পারেন।