November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

সাবধান: কলকাতাবাসীদের মধ্যে বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

সারা দেশজুড়ে হওয়া “দি গাট হেলথ সার্ভে” নামক এই সমীক্ষাটিতে কনস্টিপেশন রোগে আক্রান্তের সংখ্যার উপর যেমন আলোকপাত করা করা হয়েছে, তেমনি কী কী কারণে এই রোগের প্রকোপ এতটা বৃদ্ধি পয়েছে, সেই উত্তর জানারও চেষ্টা চালিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতা, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই, পাটনা, আমেদাবাদ এবং লক্ষৌতে এই সার্ভেটি চালানো হয়েছিল। তাতে দেখা গেছে শহরাঞ্চলে এই রোগের প্রসার সবথেকে বেশি, যার মধ্যে কলকাতায় এই রোগে আক্রান্তের সংখ্য়া সবথেকে বেশি, প্রায় ২৮ শতাংশ।

তাই বাঙালি যুবসমাজ এই কষ্টকর রোগটির হাত খপ্পর থেকে যদি বাঁচতে চান, তাহলে একবার প্রবন্ধটি পড়তে ভুলবেন না যেন! অনেকেই এমন সমস্যায় কখনও কবঝার তো কখনও অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, পটি পরিষ্কারের পাশাপাশি গ্যাস-অম্বলের জ্বালা কমাতে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি দারুন উপকারে লাগে। তাই এবার থেকে পেট পরিষ্কার রাখতে ভুরি ভুরি ট্যাবলেট না খেয়ে একবার এইসব সহজ পদ্ধতিগুলিকে কাজে লাগিয়ে দেখুন না! এমনটা করলে উপকার যে পাবেন, তা হলফ করে বলতে পারি। কী কী ঘরোয়া পদ্ধতি এক্ষেত্রে কাজে আসে, চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
১. পালং শাক: প্রতিদিন এই শাকটি খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। তাই যদি কনস্টিপেশনের সমস্যা থাকে তাহলে হয় রান্না করে, নয়তো কাঁচা অবস্থাতেই পালং শাক খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন অল্প দিনেই কষ্ট কমে যাবে। প্রসঙ্গত, আরেক ভাবে পালং শাককে কাজে লাগানো যেতে পারে। এক গ্লাস জলের সঙ্গে ১ গ্লাস পালং শকের রস দিনে দুবার করে খেলে কনিস্টেপেশনের কোনও নাম গন্ধই থাকে না।

২. মধু: প্রতিদিন মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাহলেই দেখবেন কনস্টিপেশন এবং পটি পরিষ্কার না হাওয়ার মতো সমস্যা একেবারে কমে যাবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে এমন কিছু রয়েছে, যা জোলাপের মতো কাজ করে। ফলে মধু খাওয়া মাত্র পটি পরিষ্কার হতে শুরু করে দেয়। এক্ষেত্রে দিনে ৩ বার, এক গ্লাস গরম জলে ১ চামচ করে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে।

৩. তিসি বীজ: এতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা পেট পরিষ্কার রাখতে নানাদিক থেকে সাহায্য করে। তাই পটি পরিষ্কার হোক, বা না হোক, প্রতিদিন তিসি বীজ জলে গুলে পান করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, এক গ্লাস জলে ১ চামচ তিসি বীজ গুলে কম করে ২-৩ ঘন্টা রেখে দিন। রাতে শুতে য়াওয়ার আগে পান করুন সেই জল। দেখবেন সকালে উঠে পেট পরিষ্কার করে পটি হয়ে যাবে।

৪. রেড়ির তেল: ক্ষুদ্রান্ত এবং বৃহদন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিত রাখতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ চামচ রেড়ির তেলে খেলেই দেখবেন পেট খালি করে পটি হয়ে যাবে।

৫.লেবু: এতে উপস্থিত লেমোনাস, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি পেট পরিষ্কার রাখতে দারুন কাজে আসে। তাই কখনও যদি দেখেন ১-২ দিন ধরে পটি ঠিক মতো হচ্ছে না তাহলে ঝটপট কয়েক গ্লাস লেবুর রস খেয়ে নেবেন। দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে ফল পাবেন। প্রসঙ্গত, গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন।

৬.আঙুর: এতে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার, পটি পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। তাই বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক না হলেই দিনে হাফ বাটি কাঁচা আঙুর অথবা আঙুরের রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলেই দেখবেন সকালগুলো সুন্দর হয়ে উঠবে।

৭. মৌরি: একথা তো সবাই জানেন যে পেট টান্ডা করতে মৌরির কোনও বিকল্প হয় না। কিন্তু একথা কি জানা ছিল যে বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখতেও এটি সাহায্য করে। আসলে ডায়জেস্টিভ ট্র্যাকের যে পেশি রয়েছে তার সঞ্চালন যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে মৌরি। ফলে বদ-হজম, পেট গোলানো, কনস্টিপেশন এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রমের মতো নানাবিধ রোগ একেবারে সেরে যায়। এক্ষেত্রে এক কাপ মৌরি নিয়ে ভাল করে ভেজে ফেলতে হবে। তারপর ভাজা মৌরিগুলি গুঁড়ো করে নিয়ে একটা শিশিতে স্টোর করে রাখবেন। প্রতিদিন এই গুঁড়ো মৌরি হাফ চামত করে গরম জলে গুলে খেলে নিমেষে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Related Posts

Leave a Reply