সাবধান ! ডিপফেক ব্যবহার করলেই জেল
[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :
শুধু বলিউড নয় রাজনৈতিক মহলকেও ইতিমধ্যে শিকার বানিয়ে ফেলেলছে ডিপফেক। সম্প্রতি অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, ছোট পোশাক পরে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছেন রশ্মিকা। তারপরেই নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েন তিনি। কিন্তু পরে জানা যায়, ভিডিওর মেয়েটি আসলে রশ্মিকা ছিলেনই না। অন্য একটি মেয়ের শরীরে রশ্মিকার মুখ বসিয়ে এআই টুলের সাহায্যে ডিপফেক ভিডিও বানানো হয়েছে। এরপরে একই জিনিস হয় ক্যাটরিনা কাইফ ও অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গেও। বাদ যাননি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
তাই প্রশাসনের রীতিমত মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই প্রযুক্তি। তাই এ বার এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে কেন্দ্র। গুগল, ফেসবুকের পরিচালক সংস্থা মেটা-সহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের কর্তারা। সেই বৈঠকের শেষেই জানা যায়, ডিপফেক প্রযুক্তির মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র।
মঙ্গলবারই ডিপফেকে ভুয়ো ছবি-ভিডিও ছড়ানো বন্ধ করতে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, কোনও মানুষের অধিকার কিংবা তাঁর শরীর সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ, অশ্লীল অথবা পর্নোগ্রাফিক বিষয় সোশ্যাল মিডিয়া ছড়ানো বা পোস্ট করা বন্ধ করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৩(১)(বি) ধারায় বলা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে কারও ছবি বা ভিডিও বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করলে তার শাস্তি হবে। উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বর্তমানে যে তথ্যপ্রযুক্তি আইন রয়েছে, তা মেনেই সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে ডিপফেক ভিডিয়োর সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী কোন কোন কনটেন্ট নিষিদ্ধ, তা জানাতে বাধ্য। অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে, এমন কনটেন্টও আপলোড বা শেয়ার করা নিষিদ্ধ। তাছাড়া এমন কনটেন্টও শেয়ার করা যাবে না যা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের আসল তথ্য থেকে বিভ্রান্ত করে। তাছাড়া কেন্দ্রের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যখন কোনও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কেউ রেজিস্টার করবে, তখনই নিষিদ্ধ কনটেন্ট ও শর্তাবলী সম্পর্কে জানাতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীরা লগইন করে কোনও কনটেন্ট আপলোড বা শেয়ার করার সময় রিমাইন্ডার পাঠানো হবে। সেখানে কোন কনটেন্ট আপলোড করা যাবে আর কোনটা যাবে না সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের সচেতন করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতাতেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে সরকারি তরফে।