জানেন কি এই ব্যক্তিরা কোনওদিন ধনী হতে পারেন না, বলে গেছেন চানক্য
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
চাণক্য বা কৌটিল্য ছিলেন কূটনীতিতে অত্যন্ত আদর্শ একজন আচার্য। তাঁর কুটনীতিশাস্ত্র আজও মানুষের মনে আগ্রহের সঞ্চার ঘটায়। তাঁর বলে যাওয়া প্রতিটি উক্তি আজও সমান অর্থপূর্ণ। যদি কোনও ব্যক্তি নিজের জীবনে চাণক্যের নীতি অনুসরণ করেন, তবে তিনি সব ধরনের সমস্যাকে অনায়াসেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন। তিনি এমন অনেক উপদেশ দিয়ে গিয়েছেন যা জীবনে চলার পথে এই যুগেও মানুষের সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে। ধর্ম, রাজনীতি ও সমাজ, মানুষের জীবনের প্রতিটি স্তর নিয়ে আলোচনা করেছেন মহাজ্ঞানী চাণক্য। মনুষ্য জীবনে কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী করা উচিত, আর কী করা উচিত নয়, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তিনি তাঁর নীতিশাস্ত্রে বলেছেন যে, জীবনের আনন্দকে পরিপূর্ণ করতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা প্রচুর টাকা রোজগার করা সত্ত্বেও কোনওভাবেই সঞ্চয় করতে পারেন না। আবার হাজার চেষ্টা করলেও এই সব মানুষেরা অর্থের মুখ দেখতে পান না, অর্থাৎ তাদের ঘরে ভাগ্যলক্ষ্মী বিরাজ করে না।
চাণক্যের মতে, ভাগ্যলক্ষ্মী কার ওপর প্রসন্ন হবেন এবং কার ওপর হবেন না, তা লুকিয়ে থাকে প্রতিটি মানুষের চরিত্রের মধ্যে। তবে চলুন চাণক্য নীতি অনুযায়ী কোন ধরনের ব্যক্তিরা চিরকাল অর্থের মুখ দেখতে পান না তা জেনে নিন।
১) চাণক্য নীতি অনুসারে, রাত ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় বলে মনে করা হয়। তাঁর মতে, সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মধ্যে ঘুমন্ত ব্যক্তির কাছে কোনও অর্থ থাকে না। দিনের বেলায় ঘুমোনো ব্যক্তির অর্থের অভাব সারাজীবন থাকে, অর্থাৎ এই ধরনের ব্যক্তির উপর ভাগ্যলক্ষ্মী কখনোই সহায় হন না। ধন-সম্পদ নয়, চাণক্যের মতে এই চারটি জিনিস পৃথিবীতে সর্বাধিক মূল্যবান
২) চাণক্য নীতি অনুযায়ী, যে ব্যক্তির মুখে কখনও মিষ্টতা দেখা যায় না, অর্থাৎ সব সময় গাম্ভীর্য ও তিক্ততার সহিত কথা বলে তার কাছে কখনোই অর্থ সঞ্চিত থাকে না। সারাজীবন তার অর্থের অভাব থাকে। প্রতিটি মানুষের মিষ্টি ভাষায় কথা বলা উচিত, তা হলেই ভাগ্যলক্ষ্মী তার ওপর খুশি হবেন।
৩) যে ব্যক্তি খিদের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার খান, তার হাতে কোনওদিন অর্থ থাকে না। যারা অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য অত্যধিক খরচ করেন তারা আর্থিক সমস্যায় বেশি ভোগেন। চাণক্যের মতে, এই সকল ব্যক্তিদের ভাগ্যলক্ষী একেবারে পছন্দ করেন না। তাই খিদে অনুযায়ী আহার করা ভালো।
৪) চাণক্য নীতি অনুযায়ী, যে ব্যক্তির দাঁত পরিষ্কার নয়, সে কখনও অর্থ সঞ্চয় করতে পারে না। নোংরা দাঁত যুক্ত লোকেদের ওপর ভাগ্যলক্ষী প্রসন্ন হন না বলে দাবি চাণক্যের। সুতরাং পরিছন্নতার দিকে নজর দিন।
৫) যে ব্যক্তি অবৈধভাবে অর্থ রোজগার করে, তিনি কোনওদিন ধনী হতে পারেন না বলে জানিয়েছেন চাণক্য। কোনও না কোনওভাবে এই অর্থ হাত থেকে বেরিয়ে যায়।
৬) যে পরিবার বা ব্যক্তি সবসময় অতিথিদের অসম্মান করে, আর্থিক বা সামাজিক অবস্থা দেখেই যারা অতিথিকে আপ্যায়ন করেন, তাদের ঘরে ভাগ্যলক্ষ্মী বিরাজ করেন না। অর্থের অভাব সারাজীবন থাকে।