চন্দ্রযান-২: নিছকই দুর্ঘটনা, নাকি চক্রান্ত !
কলকাতা টাইমসঃ
নিছকই দুর্ঘটনা, নাকি অন্য কিছু? মিশন চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের শেষ মুহূর্তে হারিয়ে যাওয়ার পিছনে কি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত কাজ করছে? তেমনটাই মনে করেছে অভিজ্ঞ মহলের একাংশ। ভারতের এই সাফল্য বিশ্বের কিছু দেশের কাছে মোটেই কাঙ্খিত ছিলো না। শত্রু দেশগুলোর কথা আলাদা করে আলোচনা না করলেও, ভারতের এবারের মিশন মোটেই ভালো চোখে দেখছিলোনা ‘নাসা’।
ভারতের প্রথম বড়ো সাফল্য হল ১০০ শতাংশ দেশীয় প্রযুক্তিতে অত্যন্ত কম খরচে তৈরী করে ফেলেছিলো তাদের দ্বিতীয় চন্দ্রযান। একটি হলিউডি ছবি বানাতে যা খরচ হয় কার্যত তার অর্ধেক খরচেই চন্দ্রযান-২ তৈরী করে ফেলেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। যে যান অবলীলায় পৌঁছে গিয়েছিছে চাঁদে। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও বিজ্ঞানীরা নিচ্চিৎ বিক্রম বর্তমানে চাঁদেই রয়েছে।
গোটা ঘটনাই চমকে দিয়েছে নাসাকে। চন্দ্রজান-২ নির্মাণের পর তার টেস্টিংয়ের উপযুক্ত জায়গার জন্য নাসার সাহায্য চেয়েছিলো ইসরো। তার বিনিময়ে বিপুল টাকা দাবি করে নাসা। যা চন্দ্রযান-২ মিশনের সমস্ত খরচের থেকেও অনেক বেশি। প্রায় বছর পাঁচেক আগেই নাসার মতিগতি পরিষ্কার হয়ে যায় ভারতের কাছে। শেষপর্যন্ত তামিলনাড়ুতে এই টেস্টিং প্রক্রিয়া চালায় ইসরো।
এছাড়াও, মহাশূন্যের অনন্ত রহস্য ভেদ করতে সবচেয়ে তৎপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসা। এই মুহূর্তে নাসা বেসরকারিকরণের পথে। মার্কিন মোটর প্রস্তুতকারী সংস্থা টেসলার মালিক এলন মাস্কের তৈরি ‘স্পেস এক্স’, বর্তমানে ব-কলমে নাসার মালিক। নাসার সেই গরিমা এখন অনেকটাই ফিকে। ফলে প্রশ্ন উঠছে ভারত কী আদৌ ব্যর্থ।