এখুনি পাল্টান কথায় কথায় ধমকানোর স্বভাব, নইলে
কলকাতা টাইমস :
অনলাইনে বা বাস্তবে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে, হুমকি প্রদান জনস্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। ছোটদের মাঝেও অন্যদের হুমকি-ধামকি বা গালিগালাজের প্রবণতা দেখা যায়। এটা ছোটদের শিশুসুলভ আচরণ নষ্ট করে দেয়।
আমেরিকার ন্যাশনাল একাডেমিস অব সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেডিসিন জানায়, শিশুদের মধ্যে এ স্বভাব বাড়তে দিলে তা স্থায়ীত্ব পায়। এ আচরণ কোনো শিশুর মধ্যেই স্বাভাবিক নয়।
গবেষকরা জানান, সাধারণত স্কুলের শুরুতে বা মধ্যভাগে শিশুদের মাঝে এ স্বভাব প্রবল হয়ে দেখা দেয়। অন্য শিশু বা সহপাঠী বা প্রতিযোগীদের ভয় দেখানোর ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এরই আধুনিক চিত্রটি সোশাল মিডিয়া বা অনলাইমে প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড এপিডেমিয়োলজির প্রফেসর ফ্রেডরিক রিভেরা জানান, হুমকি প্রদান পরবর্তী জীবনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। শৈশবেই এমন স্বভাব দূর করার আদর্শ সময়। তবে খুব দ্রুতই এটা দূর করা সম্ভব নয়। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং নীতিমালার চর্চার মাধ্যমে বাধা প্রদান করা যায়।
গবেষণায় দেখা যায়, যারা হুমকি প্রদান করে এবং যারা এর শিকার- উভয়ই দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে থাকেন। যাদের এ স্বভাব রয়েছে তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও দেখা দেয়।
গবেষকরা জানান, সব স্কুল-কলেজে জিরো টলারেন্স পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে। যারা এ ধরনের কাজ করবেন তাদের শাস্তি প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই প্রয়োগ করা হবে। অবশ্য এ নিয়ে আরো বেশি গবেষণা করে আরো বেশি প্রতিরোধী পদ্ধতির প্রয়োগ ঘটানো যেতে পারে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর এডুকেশন স্ট্যাটিস্টিকস এবং জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের এক রিপোর্টে বলা হয়, বিগত এক যুগের মধ্যে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হুমকি প্রদানের হার স্পষ্টভাবে কমে এসেছে। ১৯৯৯-২০০০ সাল থেকে এ ধরনের ঘটনা ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০১৩-২০১৪ সালের মধ্যে কমে এসেছে ১৬ শতাংশে।
গবেষকরা ভয় দেখানোর প্রবণতা কেন স্কুলপড়ুয়াদের মাঝেই দেখা যায়, তা বোঝার চেষ্টা করেছেন। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণেও বিষয়টি এখনো পরিষ্কার হয়নি বলেই জানান তারা।