ইউপিআই লেনদেনে এবার খসবে গ্যাঁটের কড়ি
কলকাতা টাইমস :
গুগল পে বা ফোন পে-র মতো জনপ্রিয় অ্যাপে লেনদেন বা অনলাইন লেনদেন আর ‘বিনামূল্যে’ করা যাবে না নতুন অর্থবর্ষ থেকে। ১ এপ্রিল থেকে এই ধরনের যে কোনও লেনদেনের জন্য গুনতে হতে পারে অতিরিক্ত অর্থ।
সরকারি সংস্থা ‘পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ (এনপিসিআই) জানিয়েছে, ইউপিআই-এর মাধ্যমে অনলাইন লেনদেন সংক্রান্ত নিয়মবিধিতে বড় বদল আসতে চলেছে। এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকেই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে বলে জানা গিয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তিতে।
নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, ২০০০ বা তার বেশি টাকা লেনদেন করবেন যাঁরা, তাঁদেরই এই অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে। এনপিসিআই প্রস্তাবিত এই ইন্টারচেঞ্জ ফি-এর পরিমাণ ১.১ শতাংশ পর্যন্ত। এর ফলে ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডাররা আয় বৃদ্ধি করতে পারবে। শুল্ক হিসেবে এই টাকা কাটা হবে বলে জানা গেছে। লেনদেন হওয়া অর্থের উপর ১.১ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য হবে। টাকার অঙ্ক যত বাড়বে, শুল্কের পরিমাণও তত বাড়বে ওই একই শতাংশের হিসেবে।
তবে নতুন এই ইন্টারচেঞ্জ ফি শুধুমাত্র প্রযোজ্য হবে সেইসব ব্যবসায়ীদের জন্য যাঁরা ইউপিআই ট্রানজাকশনের মাধ্যমে ২০০০ টাকার বেশি পেমেন্ট সংগ্রহ করবেন এবং সেটা হবে বিভিন্ন মোবাইল ওয়ালেটের সাহায্যে। অর্থাৎ বিভিন্ন প্রিপেড পেমেন্ট ইন্সট্রুমেন্ট- এর মাধ্যমে টাকা দেওয়া হলে প্রযোজ্য হবে এই ফি। কোনও ইউজার ব্যক্তিগত ট্রানজাকশন করলে সেক্ষেত্রে অসুবিধা নেই। কোনও অতিরিক্ত ফি প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ কেউ যদি ইউপিআই ট্রানজাকশনের মাধ্যমে ২০০০ টাকা পান, তবে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে অতিরিক্ত ২২ টাকা!
জানা গেছে, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে কিংবা এক ব্যক্তি থেকে কোনও প্রতিষ্ঠানে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম থাকছে না। কেবল ইউপিআই ট্রানজ্যাকশনের ক্ষেত্রেই এই টাকা কাটা হবে। আগের তুলনায় এই লেনদেন আরও সুরক্ষিত হবে বলেও দাবি করা হয়েছে। গিটহাব ফেব্রুয়ারি মাসেই ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, না চাইলেও এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদে কোম্পানির চাহিদা মেটাতে ও দীর্ঘ মেয়াদে সঠিক জায়গায় অর্থ বিনিয়োগ করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা।