শিশুর কাশি মানেই করোনা ! বলেন কি….
বছরের এই সময়ে শিশুদের জ্বর, ঠান্ডা, কাশি লেগে থাকে, এটি খুব সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু ২০২০ সালে এ ব্যাপারটি যেন একদমই ভিন্ন কথা বলছে। করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেক্ষেত্রে শিশু সন্তানের হাঁচি-কাশি শুনে মা-বাবার আঁতকে ওঠা স্বাভাবিক এবং সর্তক থাকাও জরুরি। তাই কী করবেন, যদি আপনার সন্তানের সর্দি, জ্বর কিংবা ঠান্ডা লাগে? এগুলো কি কোভিড -১৯ এর লক্ষণ নাকি মৌসুমী সর্দি, কাশি?
শীতের মৌসুমে করোনার প্রভাব
করোনাভাইরাস শিশুদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে তা বোঝার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত মেডিকেল রিপোর্ট এবং সমীক্ষা বলছে, করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে শিশুরা অনেকাংশেই রক্ষা পেয়েছে এবং খুব কম সংখ্যক শিশুই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে, শিশুদের মাঝে নতুন পেডিয়াট্রিক ইনফ্লামেটরি মাল্টিসিস্টেম সিন্ড্রোম দেখা যাচ্ছে যা করোনা পরবর্তী একটি মারাত্মক এবং প্রাণঘাতী অসুস্থতা। তাই শীতের মৌসুমে এই ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনি কি আসলেই জানেন, আপনার সন্তানের লক্ষণগুলো কি কোভিড -১৯ এর নাকি সাধারণ সর্দি, কাশি? জ্বর হলে কি পরীক্ষা করা উচিত? আপনার সন্তানের লক্ষণ বোঝার জন্য তিনটি জিনিস মাথায় রাখা জরুরি।
লক্ষ্য রাখুন অস্বাভাবিক কিছু মনে হয় কি-না
দুর্ভাগ্যক্রমে, করোনাভাইরাসের লক্ষণগুলো মৌসুমী সর্দি,কাশি, জ্বরের লক্ষণগুলোর মতোই। যদি দেখেন কোনো লক্ষণ যা আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় যেমন-নাকবন্ধ না তারপরও কোনো ঘ্রাণ পায় না, কিংবা খাবারে স্বাদ পায় না। ঠান্ডা, জ্বর সাথে ডাইরিয়াও। তখন দ্রুত করোনার পরীক্ষা করিয়ে নেয়া জরুরি। বছরের এই সময়ে শিশুর জ্বর, সর্দি ,কাশি থাকতেই পারে এবং যদি দেখেন সেরে উঠছে তাহলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষা করুন
করোনাভাইরাসের লক্ষণ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আপনি যদি মনে করেন আপনার সন্তান কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলো কিংবা যেকোনোভাবেই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারে তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করাতে হবে।
মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোমের লক্ষণগুলো দেখুন
শিশুদের জন্য করোনার মতোই প্রাণঘাতী এক অসুখ হলো মাল্টিসিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম। এই রোগের আরও স্বতন্ত্র কিছু লক্ষণ রয়েছে, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা সহায়তা নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। এর কয়েকটি সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. অতি মাত্রায় জ্বর
২. পেটে ব্যথা
৩. লাল, রক্তক্ষরণ চোখ
৪. ফুসকুড়ি
৫. লাল, ফাটল ঠোঁট
৬. হাত এবং পা ফোলা
৭. অস্বাভাবিক ক্লান্তি।
শিশুর স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনোভাবেই উদাসীন হওয়া চলবে না। যেহেতু আপনার শিশুটি মৌসুমী জ্বর, সর্দি এবং কাশিতে ভুগছে কি-না তা জানার সঠিক কোনো উপায় নেই, সেহেতু সচেতনতায় যেন কোনো ত্রুটি না থাকে। যদি আপনার শিশুর মাঝে এ ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই করোনার পরীক্ষা করান ।