পাঁশকুড়ায় বাড়ির দেওয়াল ধসে মৃত্যু আড়াই বছরের শিশুর
ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গড়পুরুষোত্তমপুরে। মৃত শিশুটির নাম জারা খাতুন। জারার বাবা শেখ জাহাঙ্গীর বেঙ্গালুরুতে একজন শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। গড়পুরুষোত্তমপুরের বাড়িতে থাকেন জাহাঙ্গীরের স্ত্রী, চার শিশু সন্তান, মা, ভাই এবং বোন। সূত্রের খবর, এর আগে ইটের দেওয়াল এবং অ্যাসবেস্টসের চাল দেওয়া একটি বাড়িতে থাকত জাহাঙ্গীরের পরিবার। কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকায় ওই বাড়িটি ঠিক পিছনে একটি নতুন বাড়ি তৈরি করছিলেন জাহাঙ্গীর। বর্তমানে নতুন বাড়িতেই থাকেন সকলে। কিন্তু রান্না ও খাবার কাজের জন্য পুরনো বাড়িটি ব্যবহার করা হয়।
বুধবার সকালে সেই পুরনো বাড়িতে বসেই খেলছিল জাহাঙ্গীরের দুই মেয়ে এবং দুই ভাইপো ভাইঝি। হঠাৎ করেই সেই বাড়িটির মেঝে বসে যায়। এরপর এই বাড়িটির দুটি দেওয়াল ভেঙে পড়ে, যার নীচে চাপা পড়ে যায় শিশুগুলি। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ভাঙা দেওয়াল সরিয়ে শিশুগুলিকে উদ্ধার করেন। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল জাহাঙ্গীরের মেয়ে জারা। তাকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শিশুটির।
অন্য তিনটি শিশুকে প্রাথমিকভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে জাহাঙ্গীরের আর এক মেয়ের অবস্থার অবনতি হয়। সেখান থেকে তাকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জাহাঙ্গীরের ভাইপো ভাইঝির মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অন্য একটি শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু থেকে পাঁশকুড়ার বাড়িতে ফেরার জন্য রওনা দিয়েছেন জাহাঙ্গীর। দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন পাঁশকুড়ার পুর প্রশাসক নন্দকুমার মিশ্র এবং উপ পুর প্রশাসক সইদুল ইসলাম খান। তাঁরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারটির পাশে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।