প্রতি ছয় জোড়ায় এক জোড়া সন্তানহীন, সাবধান থাকবেন যে বিষয়ে
প্রতি ছয় জোড়া দম্পতির এক জোড়া সন্তানহীনতার শিকার। শহরাঞ্চলে বন্ধ্যাত্বের হার বেশি। আইএসএআর এর হিসেবে ২০১৯ সালে ভারতে সন্তানহীন দম্পতির সংখ্যা ছিল দুই কোটি ৭৫ লাখ। মেয়েরাই প্রধানত বন্ধ্যাত্বের জন্য দায়ী এই ভাবনাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে পুরুষদের মধ্যে সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমশ কমে যাচ্ছে, দাবি বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসকদের।
সমীক্ষায় জানা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ১.৫ শতাংশ বেশি বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা যাচ্ছে পুরুষদের মধ্যে। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ, এন্ডোমেট্রিওসিস, পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ ও জেনিটাল টিবির জন্য বন্ধ্যাত্ব দেখা যায়। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসার সাহায্যে সমস্যা সারিয়ে তোলা যায়। পুরুষদের সমস্যা হলে মেল ইগোর কারণে একদিকে চিকিৎসা করাতে গাফিলতি করেন, অন্যদিকে অবসাদ তৈরি হয়।
সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হলে কিছু কিছু মানুষ নিজের পৌরুষ সম্পর্কে নিজেই সন্দিহান হয়ে অবসাদে ভোগেন। বাবা না হতে পারা আর পুরুষত্বহীনতা এক নয়। সন্তান উৎপাদনের জন্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে সুস্থ স্বাভাবিক ও গতিশীল শুক্রাণুর প্রয়োজন। শুক্রাণুর অভাবেই সন্তান হতে অসুবিধা হয়।
অত্যাধুনিক চিকিৎসার সাহায্যে ইকসি বা ইন্ট্রা-সাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইঞ্জেকশন করে অতি স্বল্প সংখ্যক শুক্রাণুর সাহায্যেও সন্তান পাওয়া সম্ভব বলে ভরসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অবসাদ, অ্যাংজাইটি, আঁটোসাঁটো অন্তর্বাস, অতিরিক্ত গরম ইত্যাদি কারণে শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যায়।
অতিরিক্ত ওজন ও ভুঁড়ি থাকলেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে। ধূমপান, মদ্যপান-সহ অন্যান্য নেশা সন্তান উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ ছাড়া চোট আঘাত ও কিছু ওষুধ ব্যবহারেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে। বেশি গরমে শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যায়। কোলে ল্যাপটপ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজ করলেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে।