ভারতে পুরোন-নতুন ‘সম্পর্ক’ নিয়ে বড় পদক্ষেপ চীনের
ভারতে আপাতত নতুন কোনও বিনিয়োগ করতে চাইছে না চীনের আলিবাবা সংস্থা। সূত্রের খবর ভারতীয় কোনও কোম্পানিতেও তারা বিনিয়োগ করতে চাইছে না। একদিকে ক্রমশ সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তাপ, অন্যদিকে তার জেরে চীনা পণ্যে নিষেধাজ্ঞা। সব মিলিয়ে আপাতত কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না এই সংস্থা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে আলিবাবা জানিয়েছে, ভারতে কোনও ব্যবসা খোলার বা নতুন করে বিনিয়োগের পরিকল্পনা নেই তাঁদের। এমনকী যেসব ভারতীয় কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা তাঁরা করেছিলেন, সেই সব প্ল্যানও স্থগিত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য ভারতে বেশ কয়েকটি নতুন কোম্পানির ফান্ডিং করে চীনের আলিবাবা। কোম্পানির এই সিদ্ধান্তের জেরে বেশ ধাক্কা খেতে চলেছে সেই সব স্টার্ট আপগুলি। কারণ আলিবাবা জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ছয় মাস বিনিয়োগের ব্যাপারে ভাবছে না তারা।তবে যে বিনিয়োগ ইতিমধ্যেই তারা করে ফেলেছে, সেখান থেকে পিছু তারা হটবে না বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। নিজেদের শেয়ারও তুলে নেওয়া হবে না, জানিয়েছে আলিবাবা।
প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্যিক সংযোগ এতটাই দৃঢ় যে চীনের উপর থেকে ভারতের নির্ভরতা কমানোটা মুখে বললেও বাস্তবে নেহাত সহজ কাজ নয়। লন্ডনের কিংস কলেজের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক হর্ষ পন্থের বক্তব্য, চীনের থেকে পণ্য আমদানী বন্ধ করা বাস্তবে অত সহজ কাজ নয়। এমন পদক্ষেপ আত্মঘাতীর শামিল। চীন থেকে ভারতকে কিনতে হয় নানা ধরনের পণ্য।
যার মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স থেকে ওষুধের কাঁচামাল ও বিভিন্ন শিল্পজাত মেশিন সামগ্রী। ২০১৯ সালে যার জন্য চীন থেকে কেনা পণ্যের বিল ৭০ বিলিয়ন ডলার। সেখানে দেখা যায় দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের ঘাটতি প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার। এই পরিস্থিতিতে মোদী চাইছেন স্বনির্ভর হয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে।
এদিকে আবার ভারত চাইছে তার বার্ষিক রপ্তানির পরিমাণ ২০২৫ সালের মধ্যে তিনগুণ করে এক ট্রিলিয়ন ডলার করতে। এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই আবার নির্ভর করছে ভারতের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য। ভারতের রপ্তানি করা পণ্য কেনার ক্ষেত্রে চীনের একটা ভূমিকা রয়েছে কারণ শীর্ষে থাকা তিনটি দেশের অন্যতম হলো চীন।