ভারতের কাছে কুপোকাত চিন, আর মাত্র ১ কোটি
কলকাতা টাইমস :
রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে এ বছরের ১ জুলাই অবধি একটা বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। ২০২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি, আর চিনের জনসংখ্যা ১৪১.২৪ কোটি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শতকের শেষে গিয়ে হিসেব উল্টে যাবে। ভারতই জনসংখ্যার নিরিখে প্রথম হবে। অন্তত ১৫০ কোটি জনসংখ্যা দাঁড়াবে ভারতের। চিন থাকবে দ্বিতীয় স্থানে, ১১০ কোটির কিছু কম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জন্মহারের এই পতন শুরু হয়েছে ১৯৮০ সালের পর থেকে। ১৯৭৯-তে চিনে ‘এক সন্তান নীতি’ চালু হওয়ার পর থেকেই হুড়মুড়িয়ে কমেছে শিশু জন্মের হার। ১৯৭৯ সালে যখন এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চিন, অনেক দেশই ভেবেছিল জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এটা বুঝি সঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছিল অন্যজায়গায়।
২০২২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দুই জনবহুল অঞ্চল হল পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া। এই দুই অঞ্চলের মধ্যেই পড়ছে ভারত এবং চিন। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বর্তমানে জনসংখ্যা ২৩০ কোটি (বিশ্বের ২৯ শতাংশ)। অন্য দিকে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় ২১০ কোটি জনসংখ্যা (বিশ্বের নিরিখে ২৬ শতাংশ)। রিপোর্ট বলছে, ২০৩৭ সালের ভিতরে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলের তকমা পেতে চলেছে। কারণ ২০৩০ সাল নাগাদ পুর্ব ও দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করবে।
রিপোর্ট বলছে, ১৯৪৯ সালে চিনে যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল, ২০১৯ সালের হিসেবে সেটা অনেকটাই কম। শুধু কম নয়, রীতিমতো উদ্বেগজনক। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৪৯ সালের পর থেকে চিনে প্রতি হাজার জনে জন্মহার ছিল ১০.৯৪। আর এ বছর প্রতি হাজার জনে জন্মহার ৬.৭৭।