আর মানুষে বিশ্বাস নেই, বিমান বাঁচাতে বানরকুলের শরণাপন্ন চীন
কলকাতা টাইমস :
নিজেদের উদ্ভট আইডিয়া ও আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত চীন এবার বাঁদর সেনার ওপর দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক বিভাগের দায়িত্বভার দিলো। চীনের বিমানবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে বাঁদরসেনা । চীনের বিমানবাহিনীর নিরাপত্তার লক্ষ্যে একটি বিমানবন্দরে বাঁদরের একটি দলকে নিযোগ করেছে। আকাশে পাখির হাত থেকে বিমান দুর্ঘটনা রোধে এই বাঁদর সেনাকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
চীনের বিমানবন্দর এলাকায় গাছ ও পাখি নিয়ে বিমানবাহিনীকে যথেষ্ট সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। পাখির কারণে অনেক সময় বিমান দুর্ঘটনা পর্যবন্ত ঘটেছে। তাই বেশ কিছু বানর নিয়ে নিজস্ব বাহিনি তৈরি করছে সেদেশের এয়ারফোর্স৷ আর তাই জোরকদমে চলছে বাহিনিতে বানর নিয়োগ৷ জানা গেছে, নিয়োগ পাওয়ার পর এর মধ্যে বিমান বিভাগের বানর কর্মচারীরা, ১৮০টি পাখির বাসা ভেঙে দিয়েছে৷
চীনে পাখির সংখ্যা এত যে মাঝেমধ্যেই বিমানচালকরা প্রমাদ গোণেন৷ কখন যে বিমানের উড্ডয়নপথে পাখি এসে হাজির হবে কেউ জানে না৷ পাখির সঙ্গে সংঘর্ষে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রায়ই।আকাশে পাখিদের ওড়াওড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে বিমান কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু বিমানের গতিপথে পাখি চলে এলে করার কিছু নেই৷তাই তাদের আগেই তাড়াতে হবে৷ সেই কাজটিই করবে বানরকূল৷ তাদের কাজ হবে, গাছে উঠে পাখির বাসা ভেঙে দেয়া৷
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে এই রকম এক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ইউএস এয়ারক্রাফ্টের বিমান৷ সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ৭২ জন যাত্রী৷ ইউএস ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই শতকের প্রথম ১০ বছরেই প্রায় ৫০০টি এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে৷