তারুণ্যে প্রজন্মের কারণে এখানে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে কৃষ্টধর্ম
ইউরোপের তরুণরা খ্রিষ্টধর্মের অনুশীলন থেকে সরে যাওয়ার কারণে মহাদেশটিতে বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে। লন্ডনের সেন্ট ম্যারি’স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক স্টিফেন বুলিভেন্ট এই গবেষণা চালিয়েছেন।
‘ইউরোপের তরুণদের ধর্ম’ শিরোনামের গবেষণায় বুলিভেন্ট দেখিয়েছেন, মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্মহীন তরুণের বাস চেক রিপাবলিকে। দেশটির ১৬ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের ৯১ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা ধর্ম অনুসরণ করেন না।
ব্রিটেনের মোট তরুণদের তিন ভাগের দুই ভাগ কোনো ধর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট নন বলে জানিয়েছেন। হল্যান্ড, সুইডেন এবং এসথোনিয়া- তিনটি দেশের তরুণদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ধর্মের অনুসারী নয়।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ‘ধার্মিক হিসেবে বা ধর্ম অনুশীলনকারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া’ তরুণদের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমছে।
ব্রিটেনে ধার্মিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেওয়া তরুণদের সংখ্যা ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে কিছুটা বেশি। তবে ক্ষেত্রে অবশ্য দুটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেছেন অধ্যাপক বুলিভেন্ট।
তিনি জানান, ব্রিটেনের প্রতি ৫জন ক্যাথলিক তরুণের একজন ব্রিটেনে জন্ম নেয়নি। অর্থাৎ, ধার্মিক তরুণরা এখানে বেশি হওয়ার পেছনে অভিবাসন একটি কারণ। আর মুসলিম তরুণরা অন্যদের তুলনায় বেশি ধর্মের প্রতি অনুরুক্ত। আবার তাদের জন্মহার ব্রিটেনে অন্যান্য সব ধর্মের থেকে বেশি।
চেক রিপাবলিকের ৮০ শতাংশ এবং সুইডেন, ডেনমার্ক, এসথোনিয়া, হল্যান্ড, ফ্রান্স এবং নরওয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ তরুণ জানিয়েছেন তারা কখনো প্রার্থনা করেননি।
স্পেন, হল্যান্ড, ব্রিটেন ও বেলজিয়ামের ৬০ শতাংশ তরুণ জানিয়েছেন, তারা কখনো কোনো ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। ২১ শতাংশ ব্রিটিশ তরুণ নিজেদেরকে খ্রিষ্টান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। অন্যদিকে ৬ শতাংশ মুসলিম ব্রিটিশ তরুণ নিজেদেরকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে পবিত্র সপ্তাহ শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার পালিত হলো পাম সানডে। বাইবেল অনুযায়ী ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার আগে পাম সানডেতে জেরুজালেমে ফিরে এসেছিলেন যীশু।
প্রতিবছর ইস্টার সানডের ঠিক আগের রবিবারই পালিত হয় এ উৎসব। আর রবিবারের পর পুরো সাত দিনই ক্যাথলিকদের কাছে পবিত্র সপ্তাহ।