মাথা কাটার পরও কয়েক সপ্তাহ বেঁচে থাকে এরা!

কলকাতা টাইমস :
মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে খাদ্যগ্রহণ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সবকিছুই মাথা দিয়ে হয়। কিন্তু, আরশোলার ক্ষেত্রে তার রক্তচাপ বা খাদ্যভ্যাস শুধু মাথার সঙ্গে সংযুক্ত নয়। জানেন কি?
মাথা কাটা গেলও প্রাণ যায় না আরশোলার। অন্তত কয়েক সপ্তাহ সে বেঁচে থাকতে পারে। মাথা ছাড়া কীভাবে একটা পতঙ্গ বেঁচে থাকতে পারে তাতে বিষ্ময়ের অন্ত নেই। কিন্তু, কী ভাবে সম্ভব হয় এটা?
মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে খাদ্যগ্রহণ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সবকিছুই মাথা দিয়ে হয়। কিন্তু, আরশোলার ক্ষেত্রে তার রক্তচাপ বা খাদ্যাভ্যাস শুধু মাথার সঙ্গে সংযুক্ত নয়। এমনকী, মাথা দিয়ে আরশোলার হৃদযন্ত্র নিয়ন্ত্রিত হয় না। এমনকী আরশোলার রক্ত ঠান্ডা। ফলে, মানুষের মতো আরশোলার সমানে খাদ্য গ্রহণ করতে হয় না।
পাশাপাশি, আরশোলার মাথার সঙ্গে শরীরের রক্ত সরবরাহকারী কোষগুলির সংযোগ একদম নেই। ফলে আরশোলার মাথা কাটা গেলে তার গলার কাছে খুব সহজেই রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এরপর যতক্ষণ না অন্য কোনও আরশোলা তাকে খেয়ে ফেলছে বা পিপড়ের দল চেপে বসছে ততক্ষণ পর্যন্ত মুণ্ডচ্ছেদ হওয়া আরশোলার প্রাণবায়ু বের হয় না।
মাথা কাটা যাওয়া আরশোলার শরীর ২০ দিনের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া অথবা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়। আর এভাবেই আস্তে আস্তে মৃত্যুর পথযাত্রী হয় মাথা কাটা যাওয়া আরশোলা।