কন্ডোম তৈরী হতো সাপের চামড়া, কুমিরের বিষ্ঠা দিয়ে, সঙ্গে আরো কত কি ?
কলকাতা টাইমস :
সঠিক প্রমান না থাকলেও সম্ভবত উত্তর আমেরিকার কোনও অঞ্চলে বার্থ কন্ট্রোলের ভাবনার সূত্রপাত । আরও পরে ১৮৩০ সালে ইংল্যান্ডে ও নাইট সোস্যালিস্টদের মধ্যে গর্ভনিরোধের ভাবনার উদয় হয়েছিল আর সেটা সারা পৃথিবীতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছিল।
১৮৫০ সালে মধু, গঁদের আঠা, কুমিরের বিষ্ঠা এই সকল পদার্থ মেয়েদের শরীরে ঢুকিয়ে রাখা হত গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা হিসেবে। তখনকার দিনে মায়েরা দুধ অনেকদিন ধরে বাচ্চাকে খাইয়ে যেতেন পুনরায় গর্ভসঞ্চার বন্ধ করার জন্য, যদিও এই প্রক্রিয়া খুব একটা কাজ করতো না। ২০ শতকের প্রথম দিকে মারি স্টোপস গর্ভনিরোধক ব্যবস্থার কথা বিশেষভাবে ভাবেন । ১৬০০ সালে ডাঃ কন্ডোম Sheath-এর কথা ভেবেছিলেন।মারি স্টোপস ক্লিনিক, কন্ডোম ইত্যাদি শব্দগুলি সেই থেকেই এসেছে ।
শোনা যায় বহু আগে শুকনো গোবর আর মধু প্রসবদ্বারে রাখা হত গর্ভসঞ্চার বন্ধ করার জন্য। এও শোনা যায় ভারতে নাকি গাজরের বীজ খেতে দেওয়া হত গর্ভনিরোধক বড়ি হিসাবে । ১৪০০ শতাব্দীতে আবার বলা হয়েছিল যদি কোনও মহিলা মৌমাছি খেয়ে নেয় তাহলে সে গর্ভবতী হবে না ।
সবচেয়ে প্রাচীন লিখিত নিদর্শন ৪০০০ বছর আগে পুরনো কাহুন প্যাপিরাস (গাছের পাতা) লেখা আছে জন্ম সঙ্কোচন ব্যবস্থার ওপর।এখানেও কুমিরের বিষ্ঠার উল্লেখ আছে । আরবে প্রথম আই ইউ ড (ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস) প্রবর্তিত হয়েছে মেয়ে উটদের জরায়ুতে ছোট পাথর ঢুকিয়ে দিয়ে — যাতে মরুভূমিতে উট হঠাৎ গর্ভবতী না হয় ।
কন্ডোম পুরাকালে ছিল ভেড়া, ছাগল এমনকি সাপের চামড়া দিয়ে তৈরি, পাতলা কাপড়ের। পাতিলেবুর রসে কাপড় ভিজিয়ে মেয়েদের শরীরের ভিতরে রাখার কথাও শোনা যায়, পাঞ্জাবি পরিবারে ৩০/৪০ বছর আগে পর্যন্ত একইঅভাবে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহৃত হত । আর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে আজও এসব চালু আছে । শুঁটকি মাছের লেইও ব্যবহৃত হত ।
সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে জনবিস্ফোরণের সমুদ্রের ঢেউ কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না। এত যে আন্তর্জাতিক মানের সমীক্ষা হচ্ছে, ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে পরিবারগতভাবে প্রতিটি মহিলা জন্মসূত্রে তার জননস্বাস্থ্যের জন্য এই কনট্রাসেপটিভ ব্যবস্থার মধ্যে থাকছে।