হেরে যাওয়ার পুরস্কার! গান্ধি পরিবারের তরফে থারুরকে
কলকাতা টাইমস :
জেনেবুঝে হাড়িকাঠে গলা দিয়েছিলেন’ শশী থারুর, নাকি রয়েছে অন্য কৌশল, জল্পনা তুঙ্গে। সরাসরি গান্ধী পরিবারের প্রার্থী ছিলেন না। তাই পরাজয় ছিল নিশ্চিত। ফলাফল বেরোতে তা আরও স্পষ্ট হয়। বিপুল ভোটে মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে হারতে হল। এবার থারুরের ভবিষ্যৎ কী? জল্পনা কংগ্রেসের অন্দরে। ফের লোকসভায় অধীর চৌধুরির পিছনের আসনে বসে নামমাত্র সাংসদের কাজ করে যাওয়া, নাকি সব জেনেবুঝে সভাপতি ভোটে খাড়গের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কৌশল। বড় কোনও সাংগাঠনিক অথবা সংসদীয় পদ পাওয়ার সম্ভাবনার দরজা খুলে গেল থারুরের সামনে। জল্পনা আকবর রোডে।
কেরলের তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ। দলের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্য বলে পরিচিত। কয়েকবছর আগে পর্যন্ত থারুরকে এইভাবে চিনত কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব। কিন্তু ধীরে ধীরে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করেন। সভাপতি ভোটের আগে সোনিয়ার পছন্দের লোক হয়ে ওঠেন তিরুবনন্তপুরমের এই সাংসদ। ‘ম্যাডাম’-এর সঙ্গে দেখা করে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও আপত্তি করেননি ম্যাডাম। আবার ভারত জোড়ো যাত্রার শুরুতেই রাহুলের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশ নেন। কথা হয় সোনিয়া-পুত্রের সঙ্গেও। প্রথমে মনে করা হয়, সোনিয়া ও রাহুলের নিষেধ সত্ত্বেও ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তা আরও বিশ্বাসযোগ্য হয় গান্ধী পরিবারের সমর্থন নিয়ে খাড়গে ভোটে দাঁড়ানোয়। আবার নির্বাচনের শুরু থেকেই ভোট পরিচালনা নিয়ে অভিযোগের বন্যা বইয়ে দেন। যা বুধবার ভোট গণনা পর্যন্ত ছিল অব্যাহত।
এতকিছুর পরেও শশী থারুরকে নিয়ে জল্পনা চলছ। কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে অন্য গল্প। ভবিষ্যতের কথা ভেবে গান্ধী পরিবারের অনুমোদন সাপেক্ষেই তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মনে করা হচ্ছে, গান্ধী পরিবার বিহীন নিরপেক্ষ সাংগাঠনিক ভোট হয়েছে। প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ ছিল সোনিয়া ও রাহুলের কাছে। তাই ভোট ঘোষণার পর থেকে মুখ খোলেননি পরিবারের কোনও সদস্য। আবার দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তি ভোটে না দাঁড়ালে তা প্রমাণ করা কঠিন হত। তাই গান্ধী পরিবারের পক্ষ থেকেই থারুরকে ভোটে দাঁড়াতে বলা হয়। হারলেও তাঁর জন্য বড়কিছু অপেক্ষা করছে বলে প্রতিশ্রুতি দেন সোনিয়ারা। এবার থারুরের ভবিষ্যৎ কী। সভাপতি ভোটের ফলাফল বেরোতেই থারুরকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে এআইসিসিতে।