শাঁখা-সিঁদুর নেই, আপনি স্ত্রী কোথায় ?
কলকাতা টাইমস :
বিয়ে নিয়ে এবার গুয়াহাটি হাইকোর্টের এক বিচারপতির মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিবাহ বিচ্ছেদের একটি মামলার শুনানির সময় বিচারপতি ওই নারীর উদ্দেশে বলেন, শাঁখা-সিঁদুর পরেন না, মানে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানই মানেন না! বিচারপতির এ ধরনের মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গেছে।
জানা গেছে, বিয়ের কয়েক মাস পরেই ওই স্ত্রী যৌথ পরিবার থেকে বেরিয়ে আসতে চান। মহিলার স্বামীর অভিযোগ, আলাদা থাকতে চাওয়ার দাবি নিয়ে বাড়িতে শুরু হয় অশান্তি। যা দু’জনের দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলে। এমনকি ওই মহিলা সন্তান নিতেও চান না বলে অভিযোগ করেন স্বামী।
এর কিছুদিনের মধ্যে বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন মহিলা । আর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যদিও আদালত জানিয়ে দেয়, স্বামীর পক্ষের কারো এ ঘটনায় কোনো দোষ নেই।
এরপর মহিলার বিরুদ্ধে নৃশংতার অভিযোগ তুলে তার স্বামীই আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাও আদালত বাতিল করে জানায়, স্বামীর ওপর ওই মহিলার অত্যাচারের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এরপর সেই মামলা যায় গুয়াহাটি হাইকোর্টে। সেখানে স্বামী অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী শাঁখা-সিঁদুর পরতে চান না। এই দাবি অস্বীকার করেননি ওই মহিলা ।
এরপর হাইকোর্টের বিচারক বলেন, যে নারী শাঁখা-সিঁদুর পরতে চান না, তিনি আসলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটাই মানতে চান না। সে অনুসারে স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার পক্ষেই রায় দেন বিচারক।
বিচারক বলেন, এ পরিস্থিতিতে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর থাকা মানে পুরুষটির অপদস্থ হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়।
বিচারকের এ মন্তব্যের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শাঁখা-সিঁদুর কে পরবেন আর কে পরবেন না, সেটা একজন মানুষের ব্যক্তিগত অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। এক্ষেত্রে তাকে জোর করার অর্থ সেই মানুষটির ব্যক্তিগত অধিকারে হস্তক্ষেপ করা। তা কি আদালতও করতে পারে?