তামা আনতে পারে আপনার শরীর-স্বাস্থ্যের আমূল পরিবর্তন, কি বলছে বিজ্ঞান
তামা শরীরে এমন এক ধাতু যার ঘাটতি দেখা দিলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে ধীরে ধীরে হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক সহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দেয়। তাই অনেকেই শরীরে তামার বালা পরার উপদেশ দেন। অবশ্য তামা পরার রেওয়াজ বহু যুগ ধরে চলে আসছে আমাদের দেশে। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে যে এই অলঙ্কারটির অন্য আরও অনেক গুণ রয়েছে।
জানেন কি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাস্তবিকই তামার অংটির কোনও বিকল্প নেই। আসলে এই ধাতুটি শরীরের সংস্পর্শে আসা মাত্র দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে তার প্রভাবে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় এসে যেতে সময় লাগে না।
একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে তামার আংটি পরলে দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে স্ট্রেসের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রাগও কমে যায়। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে এদেশে যে যে রোগের প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পয়েছে, তার সবকটির সঙ্গেই স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই তো ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষ সবাইকেই তামার জুয়েলারি পরার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
যারা অস্টিওপোরোসিস অথবা আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে ভুগছেন তাদের প্রায়শই কব্জিতে যন্ত্রণা এবং অস্বস্তি হওয়ার মতো লক্ষণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে। এক্ষেত্রে তামার বালাকে কাজে লাগাতে পারেন। কারণ এই ধরনের কষ্ট কমাতে এই ধাতুটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
তামায় উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি উপাদান ত্বক ভেদ করে শরীরের অন্দরে প্রবেশ করা মাত্র যন্ত্রণা কমতে শুরু করে দেয়। তাই যারা প্রায়শই যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পরেন তারা আজ থেকেই তামার বালা পরা শুরু করুন।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে তামার আংটি পরলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও ধরনের ক্ষতিকর জীবাণুই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
একাধিক গবেষণায় ইতিমধ্যেই এ কথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে কপার সাপ্লিমেন্টের থেকে বেশি কার্যকরি হল তামার বালা। কারণ ঘামের সঙ্গে তামা সরাসরি রক্তে মিশে যাওয়ার সুযোগ পায়।