ক্ষনে-ক্ষনে পাল্টে ৩০ রূপে করোনা, ২৭০ গুণ শক্তিশালী বলেই দ্রুত মারে কোষকে !
কলকাতা টাইমস :
ছোট্ট অদৃশ্য এই শত্রু বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টি করেছে, গুঁড়িয়ে দিচ্ছে মানবজাতির সভ্যতা ও বিজ্ঞানের দম্ভ। কোন ওষুধ নেই, প্রতিষেধক নেই। শুধুই মৃত্যুর অপেক্ষা। ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলাচ্ছে মারণ এই ভাইরাস।
করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর থেকে এটি নিয়ে বিভিন্ন দেশে গবেষণা চলছে। পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য। বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের জন্ম, প্রভাব এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা নিয়ে নতুন নতুন তথ্য দিচ্ছেন। এবার হতাশাব্যঞ্জক তথ্য দিলেন চীনের ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লি লেনজুয়ান। গত রোববার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেন, করোনাভাইরাস অন্তত ৩০টি রূপ নিয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন রূপে এটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
লেনজুয়ান বলেন, এটি ৩০টি জিনগত রূপে পরিবর্তিত হয়েছে বলে তারা গবেষণা করে প্রমাণ পেয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন রূপে ছড়িয়ে পড়ায় চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের হ্যাংঝোউ নগরীতে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত সেখানে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২শ’। বেশকিছু করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে যে করোনাভাইরাসগুলো ধরা পড়েছে তার মধ্যে কমপক্ষে ১৯টি প্রজাতি নতুন। এই ভাইরাসগুলো কখনও কখনও কার্যকারিতার দিক থেকেও ভিন্ন রূপ নিয়েছে বলে লেনজুয়ানের নেতৃত্বাধীন গবেষকরা জানিয়েছেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মানব দেহের কোষের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পারে। এমনকি কোষগুলো একই সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন রূপের ভাইরাস বহন করতে পারে। ভাইরাসের আক্রমণাত্মক প্রজাতিগুলো দুর্বল প্রজাতির তুলনায় ২৭০ গুণ বেশি শক্তিশালী। তাই এটি রোগীর আক্রান্ত কোষকে অতিদ্রুত মেরে ফেলতে পারে।
ভয়াবহ এই ভাইরাসের কবল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা উঠেপড়ে লেগেছেন। চেষ্টা করছেন দ্রুততম সময়ে একটা ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরি করতে। তবে এখনো সফলতার মুখ দেখেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা তো বলেই দিয়েছেন, এসব চেষ্টাতে কোনো লাভ হবে না। অদূর ভবিষ্যতে করোনার কার্যকরি কোনো প্রতিষেধক তৈরি হওয়ার নিশ্চয়তা নেই।