‘মিষ্টতা হারিয়ে’ বিশ্ব বাজারে নিন্মমুখী চিনি
কলকাতা টাইমস :
ইথানল নয় এখন সব আঁখই ব্যবহার করা হচ্ছে চিনি উৎপাদন করতে ফলে বিপুল উদ্বৃত্ত থাকছে। পাশাপাশি আমদানিকারক দেশগুলো থেকেও চাহিদা কমেছে। এসব কারণেই মিষ্টতা হারাচ্ছে চিনি অর্থাৎ নিন্মমুখী চিনির দাম।
করোনাভাইরাসে লকডাউন ও পঙ্গপালের হানায় বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করা হলেও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলছে, খাদ্য পণ্যের বাজার এখনও স্থিতিশীল রয়েছে। গত এপ্রিলে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ৩.৪ শতাংশ। এর মধ্যদিয়ে টানা তিন মাস কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম। সংস্থার মতে, সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় অনেক পণ্যের চাহিদা কমেছে।
করোনায় সবচেয়ে বেশি কমেছে চিনির দাম। এফএও জানায়, গত মাসে চিনির দাম কমে ১৩ বছরে সর্বনিন্ম হয়েছে। মার্চের চেয়ে এপ্রিলে দাম কমেছে ১৪.৬ শতাংশ। সাধারণত ইথানল তৈরিতে বিপুল পরিমাণ আঁখ ব্যবহার হয় ব্রাজিলে। কিন্তু বিশ্বে জ্বালানি তেলের চাহিদা ও দাম কমে যাওয়ায় ইথানল তৈরিতে এখন আঁখ ব্যবহার না করে তা থেকে চিনি উৎপাদন করা হচ্ছে। ফলে বিপুল উদ্বৃত্ত থাকছে। পাশাপাশি আমদানিকারক দেশগুলো থেকেও চাহিদা কমেছে। এসব কারণেই নিন্মমুখী রয়েছে চিনির দাম।
সংস্থা জানায়, বিশ্ববাজার এপ্রিলে চিনির পাশাপাশি ভোজ্য তেলের দাম কমেছে ৫.২ শতাংশ, দুগ্ধপণ্যের দাম কমেছে ৩.৬ শতাংশ এবং মাংসের দাম কমেছে ২.৭ শতাংশ। তবে এর বিপরীতে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বেড়েছে ৭.২ শতাংশ এবং গমের দাম বেড়েছে ২.৫ শতাংশ। মূলত উৎপাদক দেশগুলো থেকে রপ্তানিতে কিছুটা কড়াকড়ি আরোপ করায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।