ফ্ল্যাশ করলেই ৫ ফুট উঁচুতে করোনাভাইরাস : গবেষণা
কলকাতা টাইমস :
কমোড ফ্লাস করার ২০ সেকেন্ড বা তারও বেশি সময় পর্যন্ত ৫ ফুট উঁচুতে ভেসে বেঁচে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। গবেষকদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এ ভয়ানক তথ্য উঠে এসেছে। ফ্লোরিডা আটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্সের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা একটি পাবলিক রেস্টরুমের একটি টয়লেট এবং ইউরেনাল উভয়ই ফ্লাশ দিয়ে পরীক্ষা করেছেন।
গবেষণার সহ-লেখকও গবেষক সিদ্ধার্থ বলেন, শতাধিক ফ্লাশ নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পরীক্ষার পরে, আমরা পরিমাপকৃত অ্যারোসোলের মাত্রা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে দেখেছি। প্রতি ফ্লাশিং পরীক্ষায় মোট বাষ্পফোঁটার সংখ্যা দশ হাজার পর্যন্ত রয়েছে। সহ-লেখক সিদ্ধার্থ ভার্মা বিশ্ববিদ্যালয়টির সমুদ্র ও যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। ফ্লাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর ড্রপলেট টয়লেটের মধ্যে ছড়িয়ে থাকে। এগুলো ৫ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ২০ সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হয়। ঘন ঘন ফ্লাশ হলে, ড্রপলেটের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
প্যাথোজেনগুলো- যা ইবোলা, নোরোভাইরাস এবং এমনকি কভিড-১৯ ভাইরাসের হতে পারে। স্থির পানির পাশাপাশি প্রস্রাব, মল এবং বমি থেকেও ছড়াতে পারে। গবেষণা দলটির মতে, ফ্লাশিং শক্তি, টয়লেট নকশা এবং জলের চাপের ওপর নির্ভর করে ফ্লাশিং প্রচুর পরিমাণে বায়ুবাহিত জীবাণু তৈরি করতে পারে।
গবেষণার জন্য গবেষকরা ফ্লাশিং দ্বারা উৎপাদিত ফোঁটাগুলোর আকার এবং সংখ্যা ক্যাপচার করতে টয়লেট এবং ইউরিনালের বিভিন্ন উচ্চতায় একটি কণা গোনার যন্ত্র রেখেছিলেন তারা।
দেখা গেছে, এই পাবলিক টয়লেট এবং রেস্টরুমগুলো, যেখানে অনেক মানুষ একই বাথরুম ব্যবহার করেন, সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এসব আবদ্ধ জায়গায়ই সংক্রমণ বেশি ছড়ায়। এসব জায়গায় ভালোভাবে বাতাস চলাচলের জায়গা থাকে না। গবেষণা বলছে, এই কারণেই পাবলিক টয়লেটগুলোতে ভাইরাস গিজগিজ করতে থাকে। মল-মূত্র-বমি এবং জমা পানি থেকে বিপুল পরিমাণে ভাইরাস ছড়ায় ।
শুধু তা-ই নয়, গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কমোডের ঢাকনা বন্ধ অবস্থায় ফ্লাশ করা হয়, তাতেও ড্রপলেট বাইরে আসতে পারে। কারণ বায়ুবাহিত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে এরা। এই ড্রপলেটের মাধ্যমে প্রচুরসংখ্যক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই করোনা পরিস্থিতি অনেকের সঙ্গে টয়লেট শেয়ার না করাই ভালো, এমনটাই মত বিজ্ঞানীদের।