আঁতকে উঠবেন ! করোনা এখন ১ জন থেকে ৯০ শতাংশের শরীরে
কলকাতা টাইমস :
ভারতে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার সংক্রমণ। আক্রান্তের দিক থেকে প্রতিদিন নতুন রেকর্ড করছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে ভারতে এইমসের প্রধান ড. রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, ‘মানুষ যখন করোনাকে হালকাভাবে নিতে শুরু করেছে, তখনই দেশে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন’। তিনি জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, জনগণ কভিড -১৯ নির্দেশিকা অনুসরণ করতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
অলইন্ডিয়া মেডিক্যল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের প্রধান বলেন, ‘করোনার নয়া স্ট্রেনের জন্যই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। ফেব্রুয়ারির দিকে যখন করোনার সংক্রমণ কমে গিয়েছিল তখন মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল যে ভাইরাসটি তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষ এখন এই রোগটিকে হালকাভাবে নিচ্ছে। আপনি যদি বাইরে যান, তবে দেখতে পাবেন যে বাজার, রেস্তোঁরা এবং শপিংমলগুলোতে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। এই জায়গাগুলো এখন সুপার স্প্রেডারে পরিণত হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, ‘আগে একজন করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষকে সংক্রমিত করতে পারত। এখন সেটা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন একজন সংক্রমিত ব্যক্তি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। অর্থাৎ প্রথমে একজন সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ লোক সংক্রমিত হতো না। এখন খুব বেশি হলেও ২০ থেকে ৩০ শতাংশ লোক সুরক্ষিত থাকে। কিছু বাড়িতে পুরো পরিবার আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।’ গোটা দেশের সংক্রমণ বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ হিসাবে মাস্ক না পড়া, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে না চলাকেই দায়ী করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৩৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৭৯ জনের। এ নিয়ে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫৩ জন। মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৮ জন। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ মামলার সংখ্যা ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯৮। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ হাজার ১৬৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ভারতে এখনো পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯৭ জন। করোনা মোকাবেলায় এরই মধ্যে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।