February 23, 2025     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

করোনা জব্দ হবে মশায় !

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :

মারণ করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় ভ্যাকসিন আবিষ্কারে মরিয়া গোটা বিশ্বের গবেষকরা। অনেকক্ষেত্রে অনেক দেশের বিজ্ঞানীরা আসার আলো দেখালেও এখনও সম্পূর্ণভাবে কার্যকরী কোনও ভ্যাকসিনের সন্ধান মেলেনি।

এর মধ্যেই এমন এক ভ্যাকসিন তৈরির কথা শোনালেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের বিজ্ঞানী ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জেসিকা ম্যানিং, যা যে কোনও সংক্রামক ব্যধি বা মহামারীর প্রকোপ রুখে দিতে পারবে।

পাঁচ বছর আগে নিজের অফিস বিল্ডিংয়ের বাইরে দৈত্যকায় মশার মডেল থেকেই মাথায় এসেছিল আইডিয়াটা। এরপর বছরের পর বছর কেটেছে মাথায় আসা সেই চিন্তা বাস্তবে রূপ দিতে।জেসিকা বলছেন, মশাবাহিত যেসব রোগ মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে, সেই রোগের জীবাণু দিয়েই তৈরি হচ্ছে ভ্যাকসিন ৷ বিস্তারিত ব্যাখায় এই বিজ্ঞানীর দাবি, মশার থেকে যেসব জীবাণু বা প্যাথোজেন মানুষের শরীরে ঢোকে এবং ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা, হলুদ জ্বর, বা মেয়ারোর মতো ভাইরাসে রূপ নেয়, সেইসব প্যাথোজেন দিয়েই তিনি তৈরি করছেন এই ইউনিভার্সাল ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন শরীরে গিয়ে এমন অ্যান্টিবডি তৈরি করবে, যা যেকোনও সংক্রমণ আটকাতে পারবে। মশার লালা বা থুতুতে উপস্থিত প্রোটিনকেই কাজ লাগানো হবে এই ভ্যাকসিনে। এই গবেষণা সফল হলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা, হলুদ জ্বর, পশ্চিম নাইল বা মেয়ারোর মতো ভাইরাস এবং যেকোনও সংক্রামক রোগকে প্রতিরোধ করা সক্ষম হবে বলে দাবি জেসিকার।

সম্প্রতি দ্য ল্যান্সেট জার্নালে জেসিকা ও তার সহকর্মীদের গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। মশার লালা থেকে তৈরি এই ভ্যাকসিন প্রথমবার মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। ৪৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির শরীরে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। দু’ভাবে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে। প্রথমে দুটি ডোজে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর ব্যক্তিকে মশার কামড় খাইয়ে দেখা হবে শরীরে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।। মশার কামড়ের পর যদি দেখা যায় ব্যক্তির শরীরে কোনও সংক্রমণ ঘটেনি, তাহলে আরও কয়েকবার মশার কামড় দেওয়া হবে। তারপরও সুস্থ থাকলে বুঝতে হবে রোগ প্রতিরোধকারী শক্তিশালী অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম এই ভ্যাকসিন।

Related Posts

Leave a Reply