ডেঙ্গুকে ঢাল করে করোনার চ্যালেঞ্জ, আতঙ্কে বিজ্ঞানীরাই

কলকাতা টাইমস :
করোনাকালে সাধারণ রোগেরই চিকিৎসা পাচ্ছেন না মানুষ তার ওপর দোসর ডেঙ্গু। ডেঙ্গু নাকি করোনা, উপসর্গ দেখে বোঝা মুশকিল। আর এটাই আগামি দিনে ভারতের জন্য বড় স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে চলেছে। এমনকী, ডেঙ্গু করোনার সংক্রমণকে আরো ত্বরান্বিত করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। তাদের কথায়, ডেঙ্গু আবহে করোনা ভয়াবহ আকার নিতে পারে।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে প্রায় আট লাখ ছুঁইছুঁই। মাত্র চারদিনে এক লাখ নতুন রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। দেশের প্রায় সব হাসপাতালে শয্যা দখল করেছেন করোনা রোগীরা। এবার ডেঙ্গু রোগীদের কোথায় রাখা হবে?
চিকিৎসকদের হিসেব বলছে, প্রতি বছর ভারতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন প্রায় দুই লাখ মানুষ। সারাবছরই দক্ষিণ ভারত ও পূর্ব ভারতের বেশকিছু অঞ্চলে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থাকে। কিন্তু বর্ষাকাল ও শীতের শুরুতে মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। প্রতি বছর এই ডেঙ্গু রোগীদের সামাল দিতে চিকিৎসকরা নাজেহাল হয়ে যান। এবার তো আবার এক নয়, দুই রোগের চাপ। একসাথে করোনা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ সামলাতে পারবে তো ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সে প্রশ্ন উঠছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুটি রোগেরই প্রাথমিক উপসর্গ এক। টানা তিনদিন জ্বর-মাথাব্যথা-গা, হাত,পায়ে ব্যথা। ফলে কে ডেঙ্গু আক্রান্ত আর কে করোনা, তা বুঝে ওঠাই এখন প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। দুটি নির্ণয়ের জন্য আলাদা-আলাদা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। আর এর আড়ালেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে কলকাতার ভাইরাস বিশেষজ্ঞ তথা অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘ডেঙ্গু কেভিড পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে দিতে পারে। এমনকী, ডেঙ্গুর প্রভাবে করোনা সংক্রমণ আরো তীব্র হতে পারে। দুটির রোগের উপসর্গ প্রায় একই। যে কোনো একটির প্রভাবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে, অপর সংক্রমণটি প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়াতে পারে।’