November 12, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

করোনার ভয়ে ঘর বন্ধ  করে থাকেন, ভাইরাসকে ডাকছেন বেশি

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
রোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে গবেষণায় মাধ্যমে নানান তথ্য সামনে উঠে এসেছে, যেমন – কোন পৃষ্ঠে ভাইরাস কতক্ষণ জীবিত থাকে, বাতাসের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে, ইত্যাদি। গবেষণার মাধ্যমে এও বলা হয়েছিল যে, যেসব বাড়িতে বা ঘরে ভেন্টিলেশন এবং জানালা নেই, সে সমস্ত জায়গায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ঘরবাড়ি, স্কুল এবং শপিং মলের অভ্যন্তরে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত রোগীদের ড্রপলেটস্ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন, যার মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে উঠে এসেছে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন জায়গায় সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি।
গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে, ছোট এবং বদ্ধ স্থানে করোনা ভাইরাস দীর্ঘ সময় ধরে বাতাসে সক্রিয় থাকে। অর্থাৎ, যে জায়গায় বায়ুচলাচল ঠিকমতো হয় না সেখানে অন্য জায়গাগুলির তুলনায় করোনার ঝুঁকি বেশি থাকে। পাশাপাশি গবেষণায় এটিও পাওয়া গেছে যে, এই সমস্ত জায়গায় রোগীদের ড্রপলেটস্ আলাদা আলাদা পৃষ্ঠের উপর আটকে যায়।
ছোট ঘরে কেন ঝুঁকি বেশি? আজকের এই আধুনিক যুগে অনেক ফ্ল্যাট বা বাড়ি এমনভাবে তৈরি হয়েছে বা হচ্ছে, যেখানে বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা বা জানালা নেই। ফলে সঠিক পদ্ধতিতে সূর্যের আলো, বাতাস ঢুকতে পারে না, আর বাতাস ঢুকতে পারলেও তা সহজে বেরোতে পারে না। এই পরিস্থিতিতে বাতাস বাড়ির অভ্যন্তরেই ঘুরে বেড়ায় এবং করোনা রোগীর ড্রপলেটস্ও ঘরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পৃষ্ঠে লেগে থাকে। এর ফলে আক্রান্ত রোগীর থেকে সু্স্থ ব্যক্তির শরীরে ভাইরাস প্রবেশের ঝুঁকি বেশি।
বড় ও খোলামেলা ঘরে কেন ঝুঁকি কম? বড় ও খোলামেলা ঘরগুলিতে বায়ুচলাচল ভালো হয় এবং জানালা, দরজাও অনেক থাকে। ফলে ভাইরাসটি বাড়ির ভিতরে বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয় না এবং বায়ু প্রবাহের কারণে শীঘ্রই তা নির্মূল হয়। এছাড়া, করোনা রোগীদের ড্রপলেটস্ যে স্থানে থাকে তা বায়ু দ্বারা শোষিত হয়ে যায়। এই কারণে, সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসের প্রবেশের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস পায়।
এসি থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে : এসি ব্যবহারের কারণেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। এর কারণ হল, যখন এসি চালানো হয় তখন দরজা এবং জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত থাকে তবে দরজা এবং জানালা বন্ধ থাকার কারণে তার শরীর থেকে ভাইরাস বেরিয়ে সেই জায়গায় থেকে যায়। ফলে যদি কোনও স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি সেই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসে তবে সেও সংক্রামিত হতে পারে। অতএব, এই করোনার সময় এসি কম ব্যবহার করাই ভাল।

Related Posts

Leave a Reply