হতে হতেও হয়নি… এই বিখ্যাত সত্যগুলি
১.ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। স্বাধীন ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখল করার পর ইসরায়েল যখন রাষ্ট্র গঠন করে তখন ইহলোকে বর্তমান বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। ইহুদি রাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট উইজমানের মৃত্যুর পর নেতা কে হবেন এমন প্রশ্ন যখন সামনে চলে আসে তখন অনেকেই আইনস্টাইনকে সেই পদে বহাল করার পক্ষে মত দেন। সেই মোতাবেক ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন প্রস্তাব হিসেবে আইনস্টাইনকে চিঠি লেখেন। অনুরোধ করেন ইহুদি রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার। কিন্তু ইহুদি পরিবারে বেড়ে ওঠা এই বিজ্ঞানী অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। ডেভিড বেনের চিঠির উত্তরে নিজেকে অযোগ্য প্রার্থী উল্লেখ করে সেই বিষয়টিও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন আইনস্টাইন।
২. দাঁত থাকতে যারা তার মর্যাদা দেন না তাদেরও জানা দরকার এই চিকিৎসা যখন শুরু হয় তখন কিন্তু এমন সুযোগ সুবিধা ছিল না। আসল দাঁতের বদলে কৃত্রিম দাঁত তখনও আবিষ্কার হয়নি। সেই অভাব পূরণে তাই ব্যবহার করা হতো আসল দাঁত। এখন যেমন মানুষ চোখ, কিডনি দান কিংবা বিক্রি করে থাকেন, সেই সময় তেমনই দাঁত বিক্রি এবং দান করার রেওয়াজ ছিল। এছাড়া দাঁতের চাহিদা মেটানোর আরও একটি পথ খোলা ছিল। সেটি হচ্ছে মৃত সৈনিক। অর্থাৎ পক্ষের বা বিপক্ষের কোনো সেনা মৃত্যুবরণ করলে তাদের দাঁত খুলে রাখা হতো।
৩. দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এবং জীবন্ত ছত্রাক। রয়েছে আমেরিকার ওরেগন রাজ্যের ম্যালহর ন্যাশনাল ফরেস্টে। বিশালকায় উদ্ভিদের জন্য এমনিতেই বিখ্যাত এই উদ্যানটি।
৪. ভয়ঙ্কর নেশার দ্রব্য হিসেবে হিরোইন’এর বদনাম থাকলেও একসময় চিকিৎসকেরা রুগীদের তাই দিতেন। বিশেষ করে কাশি এবং মাথা ব্যথার জন্য চিকিৎসকেরা নির্দিষ্ট পরিমাণে হেরোইন ব্যবহারের পরামর্শ দিতেন।
৫. একদা রুশ শাসক হিসেবে পরিচিত জোসেফ স্টালিন ছবির ব্যাপারে অদ্ভুত মনোভাবের পরিচয় দিতেন। যেমন তার কার্যালয়ের কর্মীদের সঙ্গে ছবি তুললেও যখন তাদের মধ্যে কেউ মারা যেতেন কিংবা পদচ্যুত হতেন, তখন সেই ছবি থেকে তাকে মুছে ফেলতে আদেশ দিতেন তিনি। ফলে দেখা যেত ছবিতে থাকা সঙ্গীরা একে একে মিলিয়ে গেছেন, আর বাকি পড়ে রয়েছেন একমাত্র তিনিই। কালের আবর্তে অবশ্য তিনিও হারিয়ে গেছেন!
৬. অতীতে চীনের মহিলাদের দুটি পা’কে সুন্দর রাখতে অদ্ভুত কাণ্ড করতেন। ছোটবেলা থেকেই নারী শিশুদের ছোট মাপের লোহার জুতো পরিয়ে দিতেন। যার কারণে শারীরিক বৃদ্ধি ঘটলেও পায়ের পাতা বৃদ্ধি পেত না। এজন্যে চীনের মহিলাদের প্রচণ্ড যন্ত্রণা সহ্য করতে হতো। কিন্তু সৌন্দর্যের কথা ভেবে সেই বেদনা সহ্য করে নিত চীনের মেয়েরা।