করোনা সহ নানান রোগ রুখতে ও সারাতে হোমিওপ্যাথির ঔষুধের নাম ও ডোজ জেনে রাখুন
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান, সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মানুষের কাছে এখন একমাত্র হাতিয়ার নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, যার ইমিউনিটি পাওয়ার যত বেশি, তার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তত কম। যেহেতু covid-19 থেকে বাঁচার কোনও ঔষধ বা টিকা এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি, তাই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকতে হলে আমাদের সকলকে মেনে চলতে হবে ICMR ও WHO এর দেওয়া স্বাস্থ্য বিধি এবং বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে।
বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক সমীক্ষার পর, ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক Covid-19 এর মত অতিমারিকে দূরে সরিয়ে রাখতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করার জন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপর আস্থা রেখেছেন। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে, করোনা গোষ্ঠীভুক্ত নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিরোধক হিসেবে হোমিওপ্যাথি ঔষধ “আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০” ব্যবহার করা যেতে পারে। সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন হোমিওপ্যাথির (CCRH) সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজারি কমিটির গবেষক চিকিৎসকগণ Covid-19 এ আক্রান্ত হওয়া রোগীদের ওপর এই ঔষধটি প্রয়োগ করে সাফল্য পেয়েছেন। যার ফলে আয়ুষ মন্ত্রক Covid-19 নিয়ন্ত্রণে বা রোগের উপসর্গ ঠেকাতে “আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০” ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে।
CCRH-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে জানা যায় যে, আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০ ঔষধটি ইমিউনো প্রোটেক্টিভ পাওয়ার বাড়াতে ও শ্বাসনালীর মিউকাস মেমব্রেনকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে ঔষধটি খাবেন
ক) প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে খালিপেটে ২ ফোঁটা করে দিনে দু’বার (সকালে এবং সন্ধ্যেয়) পরপর তিন দিন।
খ) বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খালিপেটে ১ ফোঁটা করে দিনে দু’বার পরপর তিন দিন খেতে হবে। প্রতি মাসে এইভাবে ব্যবহার করতে হবে বলে অনেক চিকিৎসক মত দিয়েছেন।
এছাড়া হোমিওপ্যাথির মূলনীতি অনুযায়ী, রোগীর শারীরিক সক্ষমতা, পূর্ববর্তী কোনও কঠিন রোগে আক্রান্ত কিনা এবং কনস্টিটিউশন ও সাসেপটিবিলিটির উপর নির্ভর করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের ডোজ ঠিক করতে হবে। ব্রেকফাস্ট কিংবা বিকেলের টিফিনে খান সুস্বাদু চিজ পরোটা, জেনে নিন রেসিপি তবে শুধুমাত্র ঔষধ খেয়ে যেকোনও রোগ, প্রতিরোধ করা সম্ভব না, এই রোগের ক্ষেত্রেও তাই।
Covid-19 এর সংক্রমণ আটকাতে এই ঔষধটি খাওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ নির্দেশিত সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, মাস্ক ব্যবহার করা, অযথা মুখে, নাকে বা চোখে হাত না দেওয়া, সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধোয়া ইত্যাদি মানতেই হবে। তবে হয়তো আমরা এর থেকে মুক্তি পেতে পারব। অবশেষে একটু হলেও আশার আলো দেখাতে পারলো দৃষ্টির অন্তরালে থাকা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। এই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সঙ্গে মূল ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির বিতর্ক থাকলেও বর্তমান দিনে বিশ্বের বহু মানুষ আজও আস্থা রাখেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ওপরে।
পূর্বে ঘটে যাওয়া প্লেগ, কলেরা, বসন্তের মতো মহামারী থেকেও মানুষকে বাঁচাতে সাহায্য করেছিল হোমিওপ্যাথি। এবারও হয়তো আশার আলো দেখাতে পারে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা, এমনটাই মত বহু বিশেষজ্ঞের। তবে চিকিৎসকদের মতে, যেকোনও প্রতিরোধক ঔষধ রোগকে প্রতিরোধ করতে যে ১০০ শতাংশ কার্যকর হবে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। তাই ওষুধটি ব্যবহারের পর যদি আপনার মনে হয় যে আপনি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং হাসপাতালে ভর্তি হন।