আর নয় ক্রিপ্টো-কারেন্সি, লেনদেন অবৈধ ঘোষণা করল চিন

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে- গত শুক্রবার চীনের পিপলস ব্যাংক অব চায়নার ওয়েবসাইটে বলা হয়, বিদেশি ভার্চুয়াল কারেন্সি এক্সচেঞ্জ যা ইন্টারনেট ব্যবহার করে লেনদেন হয়ে থাকে; সেরকম আর্থিক কার্যকলাপ অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিদেশি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের কর্মীদেরও তদন্তের আওতায় আনা হবে।
পিপলস ব্যাংক অব চায়না বলেছে, ক্রিপ্টো-কারেন্সি সম্পর্কিত লেনদেনের পর্যবেক্ষণ এবং অনুমানমূলক বিনিয়োগের উৎস জানার জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাকে এরই মধ্যে উন্নত করা হয়েছে।
পিপলস ব্যাংক অব চায়না আরো বলছে, ভার্চুয়াল মুদ্রা সম্পর্কিত ব্যবসা কার্যক্রম অবৈধ। এটি মানুষের সম্পদের নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করে।
জানা গেছে, চীনের সেন্ট্রাল ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংকিং, সিকিউরিটিজ এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেটরসহ মোট ১০টি সংস্থা ক্রিপ্টো-কারেন্সি কার্যকলাপ নির্মূল করার জন্য একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।
বেইজিংভিত্তিক অ্যাজেন্সিগুলো এই প্রথমবার সব ধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি সম্পর্কিত কার্যকলাপ স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল।
প্রসঙ্গত, ক্রিপ্টো-কারেন্সির কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নির্দিষ্ট দেশ নেই। ইন্টারনেটে এ মুদ্রার লেনদেন হয়ে থাকে। বিটকয়েনের অন্যতম শীর্ষ একজন পৃষ্ঠপোষক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
সম্প্রতি ক্রিপ্টো-কারেন্সির দর অনিয়ন্ত্রিতভাবে ওঠানামা করছে। এর আগে ২০১৩ সালে বিটকয়েনের দর সর্বোচ্চ ওঠে ৪০০ ডলার পর্যন্ত। মাত্র চার বছর পর এ মুদ্রার দাম ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত উঠে যায়। বর্তমানে এ মুদ্রার দর ৩০ থেকে ৫০ হাজার ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছে।