November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

শসা ভেজানো জল খেয়ে দেখেছেন 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
চাকতি করে কাটা শসা জলে ভিজিয়ে রেখে এ জল তৈরি করা হয়। এ জলে আছে ভিন্ন স্বাদ, আছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্যগুণ। এমন স্বাস্থ্যকর পানীয় কমই আছে। শসাপানির গুণ নিয়েই আজকের টিপস—

ত্বক

শসায় আছে বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা দেহের দূষিত উপাদানগুলোকে বিতাড়িত করে। এতে বলিরেখা, ব্রণ, র‌্যাশ ইত্যাদি দূর হয়। ত্বক টান টান থাকে। শসাপানি ত্বকে কেবল একনির মহামারিই ঠেকায় না, একনি দূরও করে।

ওজন

এমনিতেই দেহে পর্যাপ্ত জল দরকার। আর এর অভাব পূরণের জন্য শসা দারুণ এক সবজি। আবার শসায় ক্ষুধাও মেটে। শসা ভেজানো জলে সাধারণ জলে মতো হলেও এতে পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। তিন বেলা খাবার গ্রহণের আগ দিয়ে শসাপানি খেলে বাড়তি খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

হৃদযন্ত্র

দেহে পটাসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধিতে শসাজলে অনন্য। এটা সার্বিক স্বাস্থ্য অবস্থার ইলেকট্রোলাইট হিসেবে কাজ করে। পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে। এটি অ্যাথেরোসক্লেরোসিস, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়।

হাড়ের ঘনত্ব

অনেক ধরনের খনিজ থাকলেও শসাপানির সিলিকা ও ম্যাঙ্গানিজের কথা না বললেই নয়। শিশুদের হাড় গঠনে এসব উপাদান দারুণ কাজের। হাড় শক্ত করে এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। যারা ছোটবেলা থেকেই শসাপানি খাবে, বয়সকালে তাদের একেবারেই অস্টেয়পোরোসিসের ঝুঁকি থাকে না।

ক্যান্সার

শসায় এক অনন্য উপাদান আছে, যার নাম কিউকারবিটাসিন। এটি দেহের এক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ জানিয়েছে, শসা ও স্ট্রবেরি প্রস্টেট ক্যান্সার বাড়তে দেয় না।

দূষণ প্রতিরোধ

শসাপানি খাওয়া মানে ব্যাপক পুষ্টিকর জল পান করা। আর এই জল মূত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে দূষিত উপাদান বের করে দেয়। ফলে বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।

পেশি গঠন

শসার সিলিকা এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এটি এমন এক খনিজ, যা আলোচনায় কম আসে। মানবদেহের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় সিলিকা অতি জরুরি। দেহের কানেকটিভ টিস্যুর যত্ন নেয় এটি। কাজেই পেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যায়।

Related Posts

Leave a Reply