শত চেষ্টা করেও মুখ থেকে বিদকুটে-তিতকুটে গন্ধ যাচ্ছে না প্রবন্ধ আপনার কথা ভেবেই লেখা! – KolkataTimes
May 25, 2025     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular শারীরিক

শত চেষ্টা করেও মুখ থেকে বিদকুটে-তিতকুটে গন্ধ যাচ্ছে না প্রবন্ধ আপনার কথা ভেবেই লেখা!

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

টনটা জটিল নয়, বরং জলের মতো স্পষ্ট। কী ঘটনা? মুখের ভিতরে কলোনি তৈরি করে কিছু ব্যাকটেরিয়া, আর যখনই সুযোগ পায় দেদার ক্ষতি করে দাঁতের, সেই সঙ্গে এমন গন্ধ সৃষ্টি করে যে লোকসমাজে মুখ ঢেকে কথা বলা ছাড়া কোনও উপায়ই থাকছে না। কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়াদের কেউ মারে না কেন? কে বললো কেউ মারছে না? আজকাল বাজার চলতি নানা লিকিউড কিনে সকাল-বিকাল কুলি করছে তো অনেকেই এবং তাতে ফলও মিলছে। সঙ্গে “ফ্রেশ” অনুভূতি তো উপরি পাওনা। কিন্তু সমস্যাটা হল এই সব লিউকিডের দাম এত যে সবার পক্ষে “অ্যাফোর্ড” করা সম্ভব নয়। ফলে মুখে গন্ধ নিয়ে ঘুরে-বেরানো মানুষদের মধ্যে ৩০ শতাংশ পকেট ফাঁকা করে সুফল ভোগ করতে পারলেও বাকি ৭০ শতাংশ সেই তিমিরেই পরে রয়েছে কিন্তু! তাই প্রশ্নটা উঠতে বাধ্য যে যারা এত টাকা খরচ করতে প্রস্থুত নয়, তারা মুখের অন্দরে বদ গন্ধ সৃষ্টি করা ব্যাকটেরিয়াদের খপ্পর থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

চিন্তা নেই বন্ধু, আপনাদের জন্য রয়েছে কিছু প্রকৃতিক দাওয়াই, যাদেরকে কাজে লাগালে “ব্যাড ব্রেথ”এর মতো সমস্যা দূরে পালাতে সময় নেয় না। তাই তো বলি বন্ধু, এমন অসম্মানকর সমস্যার হাত থেকে যদি চটজলদি মুক্তি পেতে চান, তাহলে এই লেখায় একবার নজর রাখতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, যে যে প্রকৃতিক উপাদানগুলিকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবিকই মুখের গন্ধ দূর করা সম্ভব, সেগুলি হল…

১. নারকেল তেল: মাথারটা দাঁতে! একেবারেই। আসলে বন্ধু এই তেলটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান নিমেষে গন্ধ সৃষ্টি করা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ফলে মুখের গন্ধ দূর হতে সময় লাগে না। কিন্তু প্রশ্ন হল দাঁতের পরিচর্য়ায় নারকেল তেলকে কাজে লাগানো হবে কীভাবে? এক্ষেত্রে এক চামচ ভার্জিন নারকেল তেল মুখে নিয়ে ভাল করে কুলি করুন। কম করে ৫-১০ মিনিট করতে হবে। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফলতে হবে মুখটা। এমনটা যদি প্রতিদিন করতে পারেন, তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! এই ৭টি অভ্যাস আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে…

২. চারকোল: মুখে গন্ধ কেন হয়? কেন আবার বললাম তো কিছু ব্যাকটেরিয়ার কারণে! একদম। আর সেই ব্যাকটেরিয়ারা যদি মারা পরে, তাহলেই তো কেল্লা ফতে! আর ঠিক এই কাজটিই করে থাকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল। আসলে এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান জীবাণুদের কলোনিগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে বদ গন্ধ দূর হতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে ছোট চামতের হাফ চামচ অ্যাকটিভেটেড চারকোল, ব্রাশে লাগিয়ে ভাল করে দাঁত মাঝতে হবে, এমনটা যদি সপ্তাহে ২-৩ বার করতে পারেন, তাহলে দেখবেন গন্ধ গেছে শশ্মান তলায়।

৩. মৌরি: এতে রয়েছে অ্যান্টিব্য়কটেরিয়াল প্রপাটিজ, যা মুখ গহ্বরে তৈরি হওয়া ব্য়াকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে। ফলে দুর্গন্ধে বদলে যায় সুগন্ধে। যখনই মনে হবে মুখ থেকে গন্ধ বেরচ্ছে, এক মুঠো মৌরি নিয়ে চিবিয়ে নেবেন। এমনটা করলে লালার উৎপাদন বেরে যাবে, ফলে বাজে গন্ধ বেরনো বন্ধ হয়ে যাবে।

৪. বেকিং সোডা: শরীরের অন্দরে অ্যাসিড লেভেল ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বেকিং সোডার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই এই ধরনের সমস্যায় যদি ভুগে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন এক গ্লাস জলে অল্প পরিমাণে বেকিং সোডা মিশিয়ে সেই জল দিয়ে মুখ কুলকুচি করুন। দেখবেন দারুন ফল পাবেন। এক্ষেত্রে বেকিং সোডা দিয়ে ব্রাশ করলেও কিন্তু এই ধরনের সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৫. পার্সলে পাতা: এতে রয়েছে ক্লরোপিল নামে একটি উপাদান যা মুখের বাজে গন্ধ দূর করতে সাহায্য় করে। কয়েকটি পার্সলে পাতা নিয়ে চিবিয়ে ফেলুন। ফল পাবেন হাতেনাতে।

৬. এলাচ: ২-৩ টে এলাচ নিয়ে মুখে ফেলে দিন। অল্প সময়ের মধ্য়েই দেখবেন গন্ধ একেবারে দূরে পালাবে।

৭. লেবুর রস: মুখের গন্ধের কারণে যদি জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে, তাহলে নিয়মিত লেবুর রস পান ভুলবেন না যেন। কারণ বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে লেবুর অন্দরে থাকা অ্যাসিডিক কনটেন্ট, মুখ গহ্বরে বাসা বেঁধে থাকা জীবাণুদের মেরে ফেলে। ফলে খারাপ গন্ধের প্রকোপ কমতে একেবারেই সময় লাগে না। এক্ষেত্রে এক কাপ জলে ১-২ চামচ লেবুর রসে ফেলে পান করতে পারেন অথবা সেই জলটা দিয়ে ভাল করে কুলকুচি করে ফেলেও দিতে পারেন। যাই করুন না কেন সমানই উপকার পাবেন।

৮. মেথি বীজ: এক চামচ মেথি বীজ নিয়ে পরিমাণ মতো জলের সঙ্গে মিশিয়ে সেই জলটাকে ফোটান। তারপর বীজগুলিকে ছেঁকে নিয়ে সেই জল চায়ের মতো পান করুন। কয়েকদিন এমনটা করলে দেখবেন মুখের গন্ধ কমে গেছে। 

৯. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাই সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনারের আগে অল্প পরিমাণে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিয়ে এক গ্লাস জলে মিশিয়ে পান করতে হবে। এমনটা করলে একদিকে যেমন ওরাল হেলথের উন্নতি ঘটবে, তেমনি নানাবিধ পেটের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পাবে। আর যদি এই মিশ্রনটি পান করতে মন না চায়, তাহলে তা দিয়ে গার্গেলও করতে পারেন।

১০. মিন্ট পাতা: একে প্রাকৃতিক মাউন্ট ফ্রেশনার বলা যেতে পারে। তাই মুখে গন্ধ হলে ২-৩ টে মিন্ট পাতা নিয়ে চিবিয়ে ফেলুন। তাহলেই কেল্লাফতে!

১১. দারচিনি: মুখের ভিতরে তৈরি হওয়া জীবানুদের মেরে ফলতে দারচিনির কোনও বিকল্প নেই। তাই মুখ থেকে গন্ধ বেরলেই এক চামচ দারচিনির পাউডারের সঙ্গে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে গরম করে নিন। তারপর সেই জল ছেঁকে নিয়ে মুখ ধোন। দেখবেন গন্ধ চলে যাবে।

১২. লবঙ্গ: এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল প্রপাটিজ, যা মুখে গন্ধ তৈরি করা ব্য়কটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ১-২ টো লবঙ্গ নিয়ে চুসতে থাকুন। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখবেন গন্ধ একেবারে চলে গেছে।

Related Posts

Leave a Reply