সাপ-কুমিরের পেটে গেলেও যেতে হবে আমেরিকায় !
এদিকে, অবৈধভাবে সড়কপথে আমেরিকার ঢোকার একটি পথ হচ্ছে কলম্বিয়া-পানামার মধ্যকার ভয়ঙ্কর জঙ্গল ‘ড্যারিয়েন গ্যাপ’। এই জঙ্গল পার হয়ে প্রতিদিনই আমেরিকা সীমান্তে ছুটছেন হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী। চিলি, ব্রাজিলের বাসিন্দা ছাড়াও আরও অনেক দেশের নাগরিক রয়েছেন এই তালিকায়।
ডক্টরস উইদাইট বর্ডারস বলছে, পাচারকারী চক্র ও দস্যুদের হাতে দুর্গম এ পথে ধর্ষণের শিকার হন অন্তত ৯৬ জন নারী।
সড়কপথে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে প্রতিবছর ব্রাজিল, বলিভিয়া, কলম্বিয়া হয়ে পানামা পৌঁছায় বহু মানুষ। করোনা মহামারীর মধ্যেও থেমে নেই, এ ভয়ঙ্কর পথের যাত্রা। প্রতিদিনই কয়েকশ অভিবাসন প্রত্যাশী প্রবেশ করেন বিশ্বের ভয়ঙ্কর জঙ্গল, পানামা-কলম্বিয়া সীমান্তের ডারিয়েন গ্যাপে। জলে আর গহীন জঙ্গলে সাপ-কুমির ছোবল উপেক্ষা করেই বিরামহীন এ যাত্রায় কেউ কেউ হয়ে পড়েন ক্লান্ত। কলম্বিয়ায় মাসখানেক অবস্থানে অনেকের সঞ্চিত অর্থও শেষ হয়ে যাচ্ছে। জঙ্গল পাড় হয়ে পানামায় প্রবেশের অপেক্ষা করে বহু মানুষ।
বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধান বলছে, বর্তমানে দিনে কেবল ৫শ’ মানুষকে নিজ ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেয় পানামা। যারাই জঙ্গলে যাত্রার অনুমতি পান স্থানীয় গাইডকে তাদের গুনতে হয়, ৫০ ডলার; ২০ লিটার জলের জন্য গুনতে হয় ২০ ডলার। আছে দালালদের নানা টোপও। গন্তব্য পর্যন্ত ব্যাগ বহনে স্থানীয় কুলিকে দিতে হয় ১২০ মার্কিন ডলার। ফলে মাসখানেক অবস্থানে অনেকের সঞ্চিত অর্থও শেষ হয়ে যায়।
আগস্ট মাসে পায়ে হেটে ড্যারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। পানামা বলছে, এ জঙ্গল পাড়ি দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে নিবন্ধনকৃত ৭০ হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী।