প্রেমিকের পরামর্শে মাথা থেঁতলে মাকে খুন করে পুকুরে ভাসালো মেয়ে
কলকাতা টাইমস :
প্রেমিকের কথায় জন্মদাত্রী মাকে খুন করতে এক মুহূর্ত হাত কাঁপলো না কলেজ পড়ুয়া মেয়ের। শুধু খুন নয়, খুনের পর ঠান্ডা মাথায় প্রেমিকের সঙ্গে সালা পরামর্শ করে মায়ের দেহও গায়েব করার পরিকল্পনা করে সে। কিন্তু ভাগ্য খারাপ আরকি। ধরা পড়ে গেল মেয়ে।
রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়ার পাঁচপুকুর এলাকার ঘটনা। দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা কল্পনা দে সরকার রায়, বয়স ৫৩। শুক্রবার রাতে মাকে খুন করল বড় মেয়ে। ছোট মেয়ের এ কাজে হাত আছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।
পূর্ব কলেজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন নিহত শিক্ষিকা । তেরো বছর আগেই মারা গেছে তার স্বামী রঞ্জিত রায়। আজ মানে শনিবার সকালে বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে কল্পনার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তার বড় মেয়ে রায়গঞ্জের একটি কলেজের স্নাতকের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। বছর দেড়েক আগে স্থানীয় একটি ছেলের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বিয়ে করার জন্য চাপ তৈরি করে তার প্রেমিক। তবে মেয়ের প্রেমিককে পছন্দ না হওয়ায় বিয়েতে বাধা দেন ওই প্রধান শিক্ষিকা। তাতেই মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হয় মেয়ের। অভিযোগ, তার বড় মেয়ের বন্ধুরা প্রায়শই বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। তাতেও আপত্তি ছিল মায়ের।
এই মনোমালিন্যের জেরে শুক্রবার রাতে প্রেমিকের পরামর্শে সে শিল দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে মাকে। এরপর বস্তার মধ্যে দেহ ঢুকিয়ে বাইকে চড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় বড় মেয়ের প্রেমিক। বস্তা থেকে বের করে দেহ পুকুরে ফেলে দেয়। শনিবার সকালে প্রধান শিক্ষিকার দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনার সঙ্গে তার ছোট মেয়ের আদৌ কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।