৫২ বছর পর শোকসংবাদই ধরিয়ে দিল ফিল্মি কায়দার ব্যাঙ্ক ডাকাতকে
ডাকাতির সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। ব্যাংকের ঢিলেঢালা নিরাপত্তার সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে একদিন সন্ধ্যায় যখন ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়, তখন একটি ব্যাগে করে অর্থ নিয়ে বেরিয়ে যান। তিনি দুই লাখ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার নিয়ে উধাও হয়ে যান। বর্তমানে তা ১৭ লাখ ডলারের সমমূল্যের। আমেরিকার মার্শালস সার্ভিসের তদন্তকারীরা বলছেন, ডাকাতির পরে তিনি শান্ত ও সাদাসিধে জীবনযাপন করেছেন।
কনরাড অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার দুদিন পর ব্যাংকের অন্যান্য কর্মীরা জানতে পারেন যে ব্যাংকের অর্থ লুট হয়েছে। এরপর গত অর্ধশত বছর ধরে তাকে তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছে।
মার্শাল সার্ভিস বলছে, ডাকাতির আগে বন্ধুদের তিনি ব্যাংক ডাকাতির ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। এরপর তিনি এতটা আত্মমগ্ন ছিলেন যে ১৯৬৮ সালে ম্যাককুইনের ডাকাতি নিয়ে বানানো চলচ্চিত্র থমাস ক্রাউন অ্যাফেয়ার এক ডজনেরও বেশি বার দেখেছেন। এ সিনেমা দেখেই তিনি ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অর্থ নিয়ে উধাও হওয়ার পর কনরাড তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন থমাস র্যানডেলে। ওয়াশিংটন ডিসি ও লস অ্যাঞ্জেলেসে পালিয়ে যান। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ৬২১ মাইল দূরে বোস্টনের উপকণ্ঠে থিতু হন।
পরে শান্ত ও নিরীহ জীবন যাপন বেছে নেন এই টেলার। চল্লিশ বছর ব্যবহৃত গাড়ির ডিলার হিসেবে কাজ করেন। যুক্ত ছিলেন গলফ ক্লাবেও। গত কয়েক দশক ধরে তার ডাকাতির মামলাটি নিরুত্তাপ ছিল। কিন্তু কনরাডের মৃত্যুর পর তার শোকসংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় তদন্তকারীরা সচেতন হয়ে ওঠেন। ১৯৬০ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত তার ছবির সঙ্গে মিলিয়ে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে।