অট্টহাসি পাচ্ছে? একটু ভেবে, বেঘোরে যেতে পারে প্রাণ !
কলকাতা টাইমস :
হাসতে কে না ভালবাসেন। চিকিৎসকরাও পরামর্শ দেন, সুস্থ থাকতে প্রাণ খুলে হাসুন। আজকাল তাই লাফিং ক্লাবেরও চল হয়েছে। কিন্তু সত্যি প্রাণখোলা হাসি যখন আসে, তখন তা চেপে রাখা মুশকিল। চেপে রাখার দরকারও নেই। কিন্তু হাসির চোটে মৃত্যুও হতে পারে। বিশ্বে এরকম নমুনা বিরল নয়। নাহ, দোষ অবশ্য হাসির নয়। হাসির কারণে শরীরে যে পরিবর্তন হয়, তার জেরেই মৃত্যু হয়।
বিশ্বে অন্তত দশটি এরকম ঘটনা ঘটেছে। যেখানে হাসির চোটে মৃত্যু হয়েছে। দামিওন নামে এক আইস বিক্রেতা ছিলেন। যিনি প্রায় দুই মিনিট হাসার পর নিশ্চল হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী পরীক্ষা করে দেখেন, হাসতে হাসতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই ঘটনা অবাস্তব কল্পনা নয়। বরং সত্যিই ঘটতে পারে। কেননা হুট করে অতিরিক্ত হাসির কারণে হৃদযন্ত্র বিকল হতে পারে। মস্তিষ্কের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় CATAPLEXY নামে একটি শব্দ আছে। যেখানে মানুষ পুরোপুরি সজ্ঞানে থাকেন। কিন্তু তিনি তাঁর মাসল ও অন্যান্য ব্যবহারিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।
হাসির চোটে এই প্রবণতা বাড়ে। ফলে মানুষ বুঝতে পারেন, ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু তা বন্ধ করতে পারেন না। ফলে মৃত্যুবরণ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। হাসি যতই ভাল হোক না কেন, এই নিয়ন্ত্রণ হাতের বাইরে চলে গেলে যে কোনো বিপদ ডেকে আনতে পারে।
সুতরাং হাসুন। প্রাণ খুলেই হাসুন। কিন্তু প্রাণ যেন না যায়, সে খেয়ালও রাখুন।