November 12, 2024     Select Language
Uncategorized

মৃত্যুর ৭৬ বছর পর জেগে উঠলো এই ১০০ জন

[kodex_post_like_buttons]
ফটো  pearl harbor

কলকাতা টাইমস : পার্ল হারবারের ইতিহাস খুঁড়ে নিহত ১০০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। প্রশান্ত মহাসাগরে হাওয়াইয়ের এই হ্রদ-বন্দরে জাপানি হানায় ডুবে যাওয়া মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ব্যাটলশিপ ওকলাহোমা-র ১০০ জন নাবিক ও মেরিনকে ৭৬ বছর পর শনাক্ত করা গেছে।

হাওয়াইয়ের সমাধিক্ষেত্র থেকে ৪০০ জনের দেহাবশেষ খুঁড়ে বের করে সেগুলোর নমুনার সঙ্গে আত্মীয়দের ডিএনএ মেলানোর দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়ার পর এটি সম্ভব হয়েছে। সনাক্তকরণের দরজা একবার খুলে যাওয়ার পরে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট দফতরের আশা, ২০২০-র মধ্যে ওই যুদ্ধজাহাজের নিখোঁজ নাবিকদের ৮০ ভাগকেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। নিখোঁজ সেনাদের ৮৫ ভাগ এর আত্মীয়স্বজনের ডিএনএ সংগ্রহে রয়েছে তাদের। পার্ল হারবার ধ্বংসের পরে হাওয়াইয়ের গণকবরে মিশে গিয়েছিল অনেক দেহ।

২০১৫ সালে সেখান থেকে তুলে আনা ৩৮৮ জনের দেহ ১৬টি প্লটে পুনরায় সমাহিত করা হয়েছে। তবে হাওয়ার্ড ডব্লিউ বিন ফিরবেন নিজের শহরে। মৃত্যুর সময়ে এই রেডিওম্যানের বয়স ছিল ২৭।

৬ ডিসেম্বর টেক্সাসের আর্লিংটনে, জাতীয় সমাধিক্ষেত্রে পুনরায় সমাহিত করা হবে তার দেহাবশেষ। যে ১০০ জনের দেহাবশেষ এ পর্যন্ত সনাক্ত হয়েছে, তাদের বেশ কয়েকজনকে নিজের শহরে পুনর্সমাহিত করা হয়েছে ইতোমধ্যেই। বাকিদের স্থান হয়েছে হনলুলুর নিভে যাওয়া আগ্নেয়গিরির খাতে, জাতীয় স্মারক সমাধিক্ষেত্রে।

ঘটনাটা ১৯৪১-এর ৭ ডিসেম্বর সকালে। পার্ল হারবারে বিমান হানা শুরু করে জাপান। পরের সাত ঘণ্টায় ছ’টি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে মোট ৩৫৩টি বিমান কার্যত ধ্বংস করে ওই মার্কিন নৌঘাঁটি।

ডুবে যায় তাদের ৪টি যুদ্ধজাহাজ ও ২টি জাহাজ। ধ্বংস হয় ১৮৮টি বিমান। মারা যান ২ হাজার ৪০৩ জন মার্কিন সেনা।

গত বছর আমেরিকার প্রাক্তন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে পার্ল হারবারে এসেছিলেন। তাদের সদিচ্ছাই প্রত্যেক নিহতের পরিচয় সনাক্তের কাজ শুরু হয়।

Related Posts

Leave a Reply