ভবানী পাঠকের ভস্মীভূত মন্দির নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্যের

নিউজ ডেস্কঃ
জলপাইগুড়ির শিকারপুরে ভবানী পাঠকের মন্দিরে আগুনে নাশকতার অভিযোগ তুললেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, কেউ বা কারা আগুন লাগিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিস। শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি জানিয়েছেন, মন্দিরটি পুনর্গঠন করবে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার রাতে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে যায় জলপাইগুড়ির ভবানী পাঠকের মন্দির। ২৫০ বছরের পুরনো কাঠের তৈরি মন্দিরটিতে আগুন নেভাতে চেষ্টার কসুর করেননি স্থানীয়রা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ও নাশকতার তত্ত্বকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আগুন লাগানো হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।’ একই কথা বলেছেন শিকারপুর চা বাগানের ম্যানেজার ফনি দাস।
ওদিকে এই ঘটনায় উত্তেজনার আশঙ্কায় জেলার সমস্ত থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। মন্ত্রীদের এলাকায় থাকার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক রচনা ভগত ও প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা।শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি বলেন, মন্দির পুনর্গঠন করা হবে। দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ করে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবে রাজ্য সরকার। অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার তত্ত্ব খতিয়ে দেখতে ফরেনসিক তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।