স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে? অবশই জেনে নিন কারণ
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কের পুষ্টির জন্য সুষম খাবার অত্যন্ত জরুরি। মস্তিষ্ক সঠিক পুষ্টি না পেলে অনেক ক্ষেত্রিই স্মৃতিভ্রমসহ আরও নানান সমস্যা দেখা দেয়। তবে খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও আরও বেশ কিছু কারণে দুর্বল স্মৃতিশক্তির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অপর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন মানুষের শরীরের বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম অত্যন্ত জরুরি। যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুম না হয় বা ঘুমে বারবার ব্যঘাত ঘটে তাহলে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় না। তখন মস্থিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দীর্ঘদিন এমন চললে এর ফলাফল হতে পারে দুর্বল স্মৃতিশক্তি। যা থেকে আলৎঝাইমারস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
দূষণ: ২০১৮ সালের এক গবেষণায় জানা যায়, দীর্ঘদিন দুষিত এলাকায় যারা বসবাস করেন তাদের স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি থাকে। অন্যদিকে সমবয়সি যেসব নারী তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করে তাদের এই ধরনের ঝুঁকি কম থাকে। দূষিত পরিবেশের বাতাসে যে পদার্থগুলো থাকে তা শরীরে প্রবেশ করে প্রদাহ সৃষ্টি করে যা থেকে আলৎঝাইমার’স রোগের সূত্রপাত হতে পারে।
খাদ্যাভ্যাস: একবারে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এবং অনেক দেরি করে খাবার খাওয়া, দুটি অভ্যাসই মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। টানা ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকা মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে রাতের খাবার এবং সকালের নাস্তার মধ্যকার সময়ের পার্থক্যও বেশ উল্লেখযোগ্য। তাই সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
একাকিত্ব: যারা একাকিত্ব অনুভব করেন অথবা সমাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন তাদের আলৎঝাইমারস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন। কারণ একাকিত্বর কারণে আলৎঝাইমারস হয় নাকি এই রোগের কারণে একাকিত্ব তৈরি হয় তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।
বংশগত সমস্যা: পরিবারে কারও যদি আলৎঝাইমার’স রোগ আগে হয়ে থাকে তাহলে এর ঝুঁকি কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পায়।
উচ্চ রক্তচাপ: শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য উচ্চ রক্তচাপ অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে। রক্তচাপ বাড়তে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। রক্তচাপের পাশাপাশি কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখারও চেষ্টা করতে হবে।