ঘনঘন হাই তোলার পিছনে লুকিয়ে গভীর বিপদ!
কলকাতা টাইমস :
আমরা প্রত্যেকেই হাই তুলে থাকি। সাধারণত ক্লান্ত থাকলে বা অনেক সময়ে ঘুম থেকে উঠে আমরা লম্বা লম্বা হাই তুলে থাকি। তবে রাতে পুরো সময় ঘুমানোর পরও কি ঘনঘন হাই তোলার অভ্যাস রয়েছে আপনার?
যদি থাকে তাহলে সাবধান। ঘনঘন হাই তোলার পিছনে কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা বিপদের গন্ধ।
এমনিতে কর্মস্থলে বা কোনও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাঝে হাই কেউ হাই তুললে আশেপাশের মানুষ বিরক্ত বোধ করেন। মনে হয় যেন তাদের কথা আপনি গুরুত্ব দিয়ে শুনছেন না। একই জিনিস আমাদের সঙ্গেও হয়। অন্য কেউ গুরুত্বপূর্ণ কথার মাঝে হাই তুললে অত্যন্ত বিরক্তি লাগে।
তবে এই হাই তোলার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। ঘনঘন হাই তোলা স্বাস্থ্যের পক্ষে একদম ভালো নয়।জেনে নিন, ঘনঘন হাই তুললে কেন অবশ্যই পরামর্শ নেবেন চিকিৎসকের।
লিভার পরীক্ষা করুন
যদি আপনি ক্লান্তি অনুভব না করেন, অথচ লক্ষ্য করেন যে হাই তোলার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে লিভারের নানা টেস্ট করানো আবশ্যক। পেটের নানা সমস্যায় হাই তোলার পরিমাণ বেড়ে যায়।
ধমনীর সমস্যা
অনেক সময়ে আমাদের শরীর দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। সেসময়ে ঘনঘন হাই উঠতে থাকে। একে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ‘থার্মোরেগুলেটরি ডিসফাংশন’।
অনেক সময়ে স্ট্রোকের আগের অবস্থায় এমন ঘটনা ঘটে। মস্তিষ্কের কোশ বেশিমাত্রায় ক্ষতির মুখে পড়লে ঘনঘন হাই তোলার সমস্যা হয় বলে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে।
মৃগীরোগের পূর্বাভাস দেয় ঘনঘন হাই তোলা। শরীরের মধ্যে চলতে থাকা নানা সমস্যার সঙ্কেত যায় মস্তিষ্কে ফলে ঘনঘন হাই উঠতে থাকে আমাদের।
অনেক সময়ে বেশি ওষুধ খেলেও আমাদের ক্লান্তি বেড়ে যায় ও হাই উঠতে থাকে। কোনও ওষুধ আপনার শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে না বুঝলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ঘুমের ব্যাঘাত
ঘুমের সমস্যা থাকলে বা ঘুম কম হলে ঘনঘন হাই উঠতে থাকে। যদি দেখেন এই সমস্য়া কমছে না, ঘুমও ভালো করে হচ্ছে না, তাহলে নিদ্রাহীনতার সমস্য়া বুঝে চিকিৎসকের কাছে যান।
সারাদিনের দৌড়াদৌড়ির পরে ক্লান্তি আসাটা খুব স্বাভাবিক। সেকারণেও অনেক সময়ে ঘনঘন হাই উঠতে থাকে আমাদের। তবে সাবধান। বেশিদিন এই সমস্যা চললে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।