মোদির ডিগ্রিই ডোবাল কেজরিকে, রাহুলের পরিণতির দিকে !
কলকাতা টাইমস :
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশব্যাপী প্রচার শুরু করেছে আম আদমি পার্টি। মোদী ও আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ছবি দিয়ে ‘দেশের শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী চাই’ স্লোগান লেখা পোস্টারে অভিযোগ করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ফেক।
গুজরাত হাইকোর্ট প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্কে চূড়ান্ত রায় দেওয়ার পরও কেজরিওয়াল ও তাঁর পার্টির এমন প্রচার নিয়ে আমদাবাদের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পীযূষ প্যাটেল। আদালত মামলাটি বিচারযোগ্য হিসাবে গ্রহণ করে ২৩ তারিখ প্রথম শুনানির দিনই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করা হয়েছে।
মামলায় হুবহু মিল না থাকলেও কেজরিওয়ালকে নোটিস ধরানো মাত্র রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে থাকা মানহানির মামলার পরিণতির বিষয়টি ফের চর্চায় এসেছে। মোদী পদবিধারীদের মানহানির মামলায় সুরাতের আদালত রাহুলকে দু বছর কারাবাসের সাজা দেওয়ায় তাঁর সাংসদ পদ চলে গিয়েছে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রাহুলের আর্জির পরবর্তী শুনানি হবে ২৩ এপ্রিল। মোদীকে অসম্মানের অভিযোগেই আর একটি মামলায় ২৫ এপ্রিল কংগ্রেস নেতাকে ছুটতে হবে পাটনায়। ওই দিন তাঁকে সেখানে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা মানহানির অভিযোগে আমদাবাদের মামলাটি করা হয়েছে ব্যক্তি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়। বিধায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি যাতে কোনও রক্ষাকবচ ব্যবহারের সুযোগ না পান সে জন্যই এই কৌশল নিয়েছেন গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, যা পুরোদস্তুর রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। একই মামলা করা হয়েছে আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহের বিরুদ্ধেও।
এখানে উল্লেখনীয় হল, রাহুলের মতো কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধেও অতীতে বিরূপ মন্তব্য করার দায়ে আদালতে অভিযুক্ত হওয়ার নজির আছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলি সম্পর্কে কেজরিওয়ালের একটি মন্তব্যের জন্য তাঁকে আদালতের নির্দেশে ক্ষমা চাইতে হয়। আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা করায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন রাহুল।