দমবন্ধ হয়েই মারা যাবেন রাজধানীবাসী, দিল্লির বাতাসে ‘বিষ’ নিয়ে উদ্বেগে বিশেষজ্ঞরাও
কলকাতা টাইমস :
শীতের শুরুতেই দিল্লি যেন আস্ত গ্যাস চেম্বার। ইতিমধ্যেই সেখানে বাতাসে ‘বিষ’ মিশতে শুরু করেছে। টানা দু’দিন ধরে ভয়াবহ অবস্থা রাজধানীর। শনিবার সকালেও দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে ছিল। এরপর তড়িঘড়ি প্রতিবারের মতো যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনতে বাধ্য হয় প্রশাসন। তার উপর রাস্তায় রাস্তায় জল ছেটানোয় দূষণের পরিমাণ কিছুটা কমে।
শনিবার দিল্লিতে বাতাসের গুণমান গড় সূচক ছিল ৩৮১। দূষণ রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পরিকল্পনা কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এবার দিল্লির এই বিষাক্ত পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন খোদ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। দিল্লির এই বিষাক্ত বাতাসে দিনকয়েক টানা শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষেরও শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের।
দীপাবলির সময় দেদার বাজি পোড়ানো এবং দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে ফসল তুলে নেওয়ার পর চাষের খড়কুটো জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণেই প্রতি বছর দূষণ বাড়ে বলে মনে করেন অনেকে। এরফলেই বাতাসে দূষণ ছড়ায়, যার ভুক্তভোগী হন দিল্লি ও আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা। এই বিষাক্ত বাতাসের মধ্যে থাকার কারণে অনেকেরই নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
শীতের সময় বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় একজন সুস্থ ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রও দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে মত ডাক্তারদের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দিল্লির বায়ুতে যে দূষিত কণাগুলি ভাসছে, তা রক্ত ও ফুসফুসে মিশে গেলে গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে।