November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular বিনোদন

জিতেন্দ্র-হেমার বিয়ের আসর থেকেই হেমাকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন বিবাহিত ধর্মেন্দ্র

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

র্দায় বা বাস্তবে। ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর জুটির কথা সবার জানা। এখন তারা সুখী দম্পত্তি। তবে খুব সহজে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে হয়নি হেমার। জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল তার।

যেদিন বিয়ে সেই রাতে বিবাহ আসরে উপস্থিত হন ধর্মেন্দ্র। মদ খেয়ে। হেমার সঙ্গে অন্য কারোর বিয়ে হোক চাননি ধর্মেন্দ্র। কার্যত, বিয়ের আসর থেকে হেমাকে ফিরিয়ে আনেন তিনি। জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমার বিয়ে ভেঙে যায়।

স্টারডাস্ট পত্রিকার সাবেক সম্পাদক রাম কমল মুখোপাধ্যায় বিয়ন্ড দা ড্রিম গার্ল লিখেছেন। সেই বইয়ের অংশ বিশেষে সামনে এসেছে হেমার বিবাহ সম্পর্কিত এই তথ্য। সেখানে লেখা হয়েছে, হেমা ও ধর্মেন্দ্রর সম্পর্ককে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি হেমার পরিবার। ধর্মেন্দ্র বিবাহিত ছিলেন।

সেটিই ছিল আপত্তির কারণ। তবে পরিবারের অমতে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে লুকিয়ে চুরিয়ে প্রেম করতেন হেমা। একদিন হঠাৎ বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান হেমা। গোটাদিন বাইরে কাটান। চিন্তায় পড়ে যায় বাড়ির লোক।

সেই ঘটনার পর থেকে হেমার মা মেয়েকে আরও চোখে চোখে রাখতে শুরু করেন। বুঝতে পারেন, বিয়ে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা নেই। সেই মতো ছেলে দেখতে থাকেন।

সেসময় জিতেন্দ্রর সঙ্গে দুলহন ও খুশবু ছবিতে কাজ করছেন হেমা। জিতেন্দ্রর হেমার প্রতি দুর্বলতা ছিল। হেমা সেটা বুঝতেন। তবে, প্রশ্রয় দেননি। তবে হেমা ও জিতেন্দ্র ক্রমশ ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন।

বিষয়টি জানতে পারেন ধর্মেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টিকে মোটেও ভালোভাবে নেননি তিনি। একবার তো হেমা ও জিতেন্দ্রর শুটিং সেটে চলে যান ধর্মেন্দ্র। মেকআপ রুমে টেনে নিয়ে যান হেমাকে।

তবে নিজের পরিকল্পনা থেকে সরে যাননি হেমার মা। জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ের ঠিক করেন তারা। মাদ্রাজে উড়ে যায় হেমা ও জিতেন্দ্রর পরিবার। খবর কানে যায় ধর্মেন্দ্রর। তিনি জিতেন্দ্রর বান্ধবীকে নিয়ে সোজা উড়ে যান মাদ্রাজে।

সেদিনই বিয়ে হেমা ও জিতেন্দ্রর। সেখানে হাজির হন মদ্যপ ধর্মেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে হইচই পড়ে যায়। হেমার বাবা তো পারলে ধর্মেন্দ্রকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তাকে বলেন, “তুমি একজন বিবাহিত। আমার মেয়ের জীবন থেকে তুমি কেন সরে যাচ্ছ না। তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে পার না।”

ঝাঁঝালো কথা শুনেও সেখান থেকে আসার পাত্র ছিলেন না ধর্মেন্দ্র। তিনি একটিবারের জন্য হেমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। সম্মতি দিয়েছিল হেমার পরিবার। হেমার সঙ্গে একান্তে কথা বলেছিলেন ধর্মেন্দ্র। সে এক নাটকীয় পরিস্থিতি। বাড়িতে উপস্থিত ম্যারেজ রেজিস্ট্রার, দুই পরিবারের লোকজন।   

সবার নজর তখন আটকে হেমা ও ধর্মেন্দ্রর দিকে। তারা দুজনেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। হেমা জানান, তিনি এখনই জিতেন্দ্রকে বিয়ে করতে পারবেন না। কয়েকদিন সময় চান। আত্মসম্মানে ঘা লাগে জিতেন্দ্রর।

তার পরিবারের তরফে বলা হয়, বিয়ে হলে এখনই হবে। না হলে কখনও নয়। এখনই বিয়ে করা সম্ভব নয়, জানিয়ে দেন হেমা। অপমানিত জিতেন্দ্র তার পরিবারের সঙ্গে বিবাহ আসর ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে করেন হেমা।

Related Posts

Leave a Reply