বিশ্বের বৃহত্তম সুইমিং পুল সম্পর্কে এই তথ্যগুলি আগে জানতেন?

কলকাতা টাইমসঃ
চিলির সান আলফোনসো দেল মার রিসর্টে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সুইমিং পুলটি। প্রায় ২০ একর এলাকাজুড়ে তৈরী করা হয়েছে এই পুল। যার দৈর্ঘ্য ৩,৩২৪ ফুট। জেনে নিন এই বৃহত্তম সুইমিং পুলটি সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
১. ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পক্ষ থেকে চিলির এই পুলটিকে বৃহত্তম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
২. এই পুলটিতে প্রায় ২৫ কোটি লিটার জল সংরক্ষণ করা যায়। পর্যটকরদের জন্য আল গাররোবো শহরের এই পুলে নৌকাবিহারের ব্যবস্থাও রয়েছে।
৩. ৬০০০ টি সাধারণ মাপের, অর্থাৎ ৮ মিটার লম্বা পুলের চেয়েও বড় এই সুইমিং পুল।
৪. চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে প্রায় ৯০ কিমি দূরে সাল আলফোনসো দেল মার। সমুদ্রতটের পাশে অবস্থিত এই রিসর্টের সুইমিং পুল সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। কিন্তু সমুদ্রের পাশে আবার সুইমিং পুল তৈরির প্রয়োজন হল কেন?
১৯৯৭ সালে ফের্নান্দো ফিসম্যান নামে এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এই পুলের কথা ভাবেন। কারণ চিলির সেন্ট্রাল কোস্টের অংশ সমুদ্র পর্যটকদের জন্য বেশ বিপজ্জনক। আর এখানকার জলও মারাত্মক ঠান্ডা। সেই কারণেই সমুদ্রের পাশে পুল তৈরির ভাবনা।
৫. সমুদ্রের পাশে পাশে তৈরি এই পুলে ওয়াটার স্পোর্টসেরও ব্যবস্থা রয়েছে। পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নীল জলের কারণে খুব তাড়াতাড়িই এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
৬. ১১৫ ফুট গভীর এই সুইমিং পুলটি ক্রিস্টাল লেগুনস টেকনোলজি নামের একটি সংস্থা তৈরি করেছে। সমুদ্রের জল পরিশুদ্ধ করেই সংরক্ষণ করা হয়েছে এই পুলে। সমুদ্রের জলের তুলনায় কমপক্ষে ৯ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা (২৬ ডিগ্রি) যাতে থাকে, তার জন্য বিশেষ অপরেটিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করা রয়েছে এখানে।
৭. পাঁচ বছর ধরে এই সুইমিং পুলটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬,৯৮৪ কোটি টাকা।
৮. প্রতি মাসে এই পুলটি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ করা হয় প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা।
৯. বৃহত্তম এই পুলটিতে অন্যান্য পুলের তুলনায় অনেক কম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এতে পালস পাওয়ার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। জলের তাপমাত্রা ও ব্যাকটিরিয়া-ছত্রাকের বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে থাকে।